নেত্রকোনা (প্রতিনিধি) স্থানীয় বিভিন্ন ধান জাত সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সম্প্রসারনের বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষিউন্নয়ন কর্পোরেশনের কৃষিবিজ্ঞানীগণ স্থানীয় কৃষক ও বারসিক স্টাফদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা করেছেন। ৮ ডিসেম্বর বারসিক নেত্রকোনা রিসোর্স সেন্টারের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, ড. মো. নাজমুল ইসলাম, প্রধান সমন্বয়কারী গবেষণা সেল, কৃষি মন্ত্রণালয়, ড. মো. মাহবুবুর রহমান যুগ্ম পরিচালক (বীজ পরীক্ষাগার) গাবতলী, ঢাকা, মোস্তাইন বিল্লাহ, উপসহকারী পরীক্ষক, বিএডিসি, মো. রাশেদুল ইসলাম, উপসহকারী পরিচালক, বিএডিসি, নেত্রকোনা। মো. শহীদুল ইসলাম (আলুচাষ) নকলা, শেরপুর, কৃষিবিদ মো. জয়নাল আবেদিন উপ-পরিচালক (বীজউৎপাদন) বিএডিসি, মো. সারওয়ার-এ-জাহান, সিনিয়র সহকারী পরিচালক, নেত্রকোনা বীজ উৎপাদন খামার। কৃষিবিদ মো. হারুন অর রশিদ, উপপরিচালক বিএডিসি হিমাগার, পাকুন্দিয়া,কিশোরগঞ্জ, কৃষক গবেষক সংগঠক সায়েদ আহমেদ খান বাচ্চু, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান নেত্রকোনা। বারসিক সাতক্ষীরা, রাজশাহী, মানিকগঞ্জ অঞ্চলের কর্মকর্তা ও উদ্যোগী কৃষকগণ।
আলোচনায় স্থানীয় ধানজাত লোকায়ত জ্ঞান, স্থানীয় জাতের ধান চাষ, সংগ্রহ ও সরক্ষণ ও সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে এসব জাত কিভাবে সম্প্রসারণ করা যায় ও ধানজাতকে রক্ষা করা যায় এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
ড. মো. নাজমুল ইসলাম, প্রধান সমন্বয়কারী গবেষণা সেল, কৃষি মন্ত্রণালয় বলেন, “আমি পত্রিকায় বারসিকের স্থানীয় জাতের ধান নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন ও সায়েদ আহমেদ খান বাচ্চুর ৫০৪ জাতের ধানের সংবাদ পড়ে তাঁর সাথে যোগাযোগ করেছি এবং আজকে এই টিম নিয়ে আসা। আমরাও চাই বীজ কৃষকের কাছে থাকুক। ধানের জাতগুলো বেঁচে থাকুক। কৃষকের কাছ বীজ ভালো ও যতেœ থাকে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে মনে হয় আমরা কৃষকের বীজ কাছে ফেরত দিতে পারবো।
আলোচনা শেষে কৃষিবিজ্ঞানী দলের পক্ষ থেকে বোরো মৌসুমের “বৈরাগী” ধানের বীজ কৃষক গবেষক সায়েদ আহমেদ খানের কাছে ও কৃষক সায়েদ আহমেদ খান বাচ্চুর বিরই ধানের বীজ বিনিময় করা হয়।
Leave a Reply