ডেস্ক নিউজ : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। একদিনের ব্যবধানে তাদের গাড়িবহর দুবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিষয়গুলোকে কেন নিছক দুর্ঘটনা না বলে হত্যাচেষ্টা বলা হচ্ছে— এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। হত্যাচেষ্টার দাবি সম্পর্কে অনেককে নেতিবাচক মন্তব্যও করতে দেখা গেছে। বিপরীতে অনেকেই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যদিও এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন সারজিস আলম নিজেই। এসেব ঘটনাকে হত্যাচেষ্টার দাবি করছেন তারা।
সারজিস বলেন, ‘আমরা প্রথমে হত্যাচেষ্টা সন্দেহ করিনি। ঘটনার পর ওই ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। কিন্তু তখন কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। ফলে সন্দেহজনক মনে হয়। উনি বলছিল, উনি জিনিসপত্র আনলোড করার জন্য এনেছিল। কিন্তু কোনো নথিপত্র ওনার কাছে নাই। মালিকপক্ষের কথা জিজ্ঞেস করলে বলে বিদেশে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘পরে তাকে বললাম- মালিক ছাড়া তো আপনাকে যেতে দেওয়া হবে না, আপনার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; কারণ শিক্ষার্থীরা এই গাড়ি ভাড়া নিয়ে এসেছে; এটি শিক্ষার্থীদেরও গাড়ি না; এই ক্ষতিপূরণ তো শিক্ষার্থীরা দিতে পারবে না। আমরা চাচ্ছিলাম যে এটি যেন সহজে শেষ করে ফেলা যায়। কিন্তু তখন উনি আবার বললেন- মালিক জেলে আছে।’
সমন্বয়ক সারজিস বলেন, ‘তখন তাকে (ট্রাকচালক) প্রশ্ন করতে করতে পাওয়া গেল, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে জেলে আছে ট্রাকের মালিক। তখন বিষয়টিকে সন্দেহজনক লাগে। পরে জিডি করি। কিন্তু জিডিতে তদন্ত করা যায় না। পরে মামলা দেই। এখানে ওনার সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলে মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।’
‘ট্রাক মালিকের বিষয়ে তারা সুনির্দিষ্ট কিছু জানতে পেরেছেন?’ প্রশ্নের জবাবে সারজিস বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের মামলায় আসামির ব্যাকগ্রাউন্ড তো আওয়ামী লীগই।’
বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা থেকে ঢাকা ফেরার পথে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দুর্ঘটনার শিকার হয় হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়ি। মাতুয়াইল ও গুলিস্তানে দুইবার দুর্ঘটনার শিকার হয় হাসনাতের গাড়ি। মাতুয়াইলে আঘাত করে পালিয়ে যায় একটি ট্রাক। গুলিস্তানে আঘাত করে একটি মিনি ট্রাক। এসব দুর্ঘটনাকে পরিকল্পিত হামলা বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এর আগে, বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। এ ঘটনায় ট্রাকের চালক মজিবুর রহমান (৪০) ও হেলপার তার ছেলে রিফাত মিয়াকে (১৮) আটক করা হয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
Leave a Reply