সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫২ অপরাহ্ন

এই মাত্র পাওয়া

কলমাকান্দায় ব্যক্তিমালিকানা জায়গা মসজিদের দখলে নেওয়ার অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট : শুক্রবার, ৭ জুন, ২০২৪
  • ৮৪ পঠিত

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় জোর করে এক ব্যক্তির জায়গা দখলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে মসজিদ কমিটির লোকজনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার লেংগুরা ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হাবিবুর রহমানের দাদা (পিতার বাবা) মো. উমেদ আলী শেখ ১৯৫০ সালে শিবপুর গ্রামে ৩৩১ এবং ৫৭৮ দাগের সামনে ৫৭৯ দাগে একটি বাড়ি করেন। ১৯৫২ সালে সাবেক ৫৭৯ দাগে একটি মসজিদ নির্মান করেন এবং ১৯৬৫ সালে তিনি মারা যান। তিনি দুই সন্তান রেখে যান। উমেদ আলী মারা যাওয়ার কয়েক বছর পর তার বড় ছেলে জোবেদ আলী নাবালক অবস্থায় মারা যান। ছোট ছেলে শমসের আলী ওরফে ফজর আলী তিনি ছিলেন বাকপ্রতিবন্ধী। মানসিকভাবেও তিনি অসুস্থ ছিলেন। ১৯৮২ সালে যখন ভূমি জরিপ হয় তখন তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় তার জায়গার বিষয়ে কোন খোঁজখবর রাখেন নাই। এক পর্যায়ে দেখা গেছে তার জায়গা সরকারের নামে ১২৪৮ দাগে ১ খতিয়ানে অন্তুর্ভূক্ত হয়ে যায়। পরে ২০০৩ সালে মসজিদটির পাশে একটি মাদ্রাসা করতে চান মসজিদ কমিটির লোকজন। আর এই মাদ্রাসাটি নির্মাণের জন্য হাবিবুর রহমান তাদের বাড়ি-ঘরের কিছু অংশ ভেঙে জায়গা দেন। কিন্তু সম্প্রতি মসজিদ কমিটির কয়েক জন লোক পূর্ব শত্রুতার জেরে মসজিদটি পুনঃনির্মানের কথা বলে মসজিদটি ভেকু দিয়ে ভেঙে ফেলে। এসময় মসজিদের পেছনে থাকা নয় ব্যক্তির কবর ও আশে-পাশে থাকা গাছপালা ভেঙে ফেলে দেওয়া হয়। 

অভিযোগকারী হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই বাড়িতে বসবাস করে আসছি। কয়েকদিন আগে মসজিদ কমিটি সভাপতি, মাদ্রাসার সেক্রেটারীসহ  স্থানীয় লোকজন মিলে মসজিদের জায়গা মাপার নাম করে আমাদের বাড়িতে খুঁটি গাড়ে। এবং আমাদের বাড়ি-ঘর ভেঙে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার কলমাকান্দার ইউএনও, এ্যাসিলেন্ড, নেত্রকোনা জেলা প্রসাশক, পুলিশ সুপার, স্থানীয় এমপি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ১৯৮২ সালে তার বাপ দাদার জমি বিআরএস রেকর্ডভূক্ত না হওয়ায় সম্প্রতি আদালতে বিআরএস রেকর্ড সংশোধন মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।

সরেজমিনে গেলে শিবপুর মাদ্রাসার সেক্রেটারী আবু সাঈদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মসজিদ কমিটি লোকজনসহ আমরা স্থানীয় ভাবে খাস জায়গার সীমানা নির্ধারণ করি। এতে করে খাসভূমি সীমানা ভিতরে  হাবিবুরের বসত বাড়ী রয়েছে। পরে বসত বাড়ীর পরিবর্তে একই মৌজায় দুই কাঠা জমি বা নগদ দুই লক্ষ  টাকার বিনিময়ে আপোষ মীমাংসা প্রস্তাব দেওয়া হলে এতে রাজি হননি হাবিবুরসহ তার পরিবার লোকজন।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে শিবপুর বড় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি খাদেমুল ইসলাম অভিযোগকারি পরিবার লোকজনদের তাদের বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদ কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, তার অভিযোগ অসত্য। মসজিদের নামে আমরা সরকারি ভাবে ৩৬ শতক ভূমি পেয়েছি। সম্প্রতি মসজিদ ঘরটি ভাঙা হয়েছে। এখানে নতুন করে মসজিদ পূন: নির্মাণ করা হবে। পাশে কয়েকটি কবর রয়েছে। আর ওই কবরের  ওপর মসজিদ নির্মান করা যাবে আলেমগন মতামত দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
© All rights reserved © 2023 digantabangla24.com