দিগন্ত ডেক্স : গর্ভবতী নারীদের জন্য অচাষকৃত খাদ্যমেলা ও পুষ্টি প্রদান নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ফচিকা গ্রামের অগ্রযাত্রা কিশোরী সংগঠনের সদস্যদের আয়োজনে ও বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহযোগিতায় মদিনা আক্তারের শতবাড়ীতে অচাষকৃত খাদ্যসম্পদ মেলা, গর্ভবতী নারীদের জন্য একমাসের পুষ্টি যেমন শাক, ডিম, সবজী, কলাসহ নিরাপদ খাদ্য প্রদান, জন্মনিবন্ধন ও সর্বজনীন পেনশন স্ক্রীম এ গ্রীষ্মকালীন মেলার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম।বিশেষ অতিথি ছিলেন কাইলাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব নাজমুল হক, বৃক্ষপ্রেমিক মানবিক মানুষ আব্দুল হামিদ কবিরাজ, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান ও গ্রামের নারী পুরুষ ও যুবরা।
অচাষকৃত নিরাপদ খাদ্য মেলায় ২৭ জাতের শাক, লতাপাতা, ফল প্রদর্শন করা হয়। গ্রামে নারীরা শতবাড়ি থেকে এবং এলাকার আশপাশ ও গ্রামের পতিত জমি, পুকুর পাড়, ডোবা, খাল থেকে এসব খাদ্যসম্পদ সংগ্রহ করেন। প্রদর্শন করা শাকসবজীগুলো হলো,তেলাকুচা,কলার তোর, হেলেঞ্চা, ঢেঁকিশাক,কচুশাক, সেঞ্চি, কালোকচু, থানকুনি, তেলাকুচা, নটে শাক, গিমা, খারকোন, বতুয়া, দন্ডকলস, নুনিয়া, বউটুনি, তিতবেগুন, বনআলু, ডুমুর, পাট, সাজনা, বাসক, নীম, মিষ্টিআলু, কলমি, ক্যাথাবুড়ি, বনআলু ইত্যাদি। মেলার এসব খাদ্য সম্পদ দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,“ আমি এরকম মেলা এই প্রথম দেখলাম, এসব খাদ্য আমাদের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে, আমরা বিষদিয়ে, অবহেলা করে, পুষ্টির বিষয়টি না জেনে এগুলো মেরে ফেলি এবং খেতে চাইনা, কিন্তু এগুলোই আমাদের পুষ্টির চাহিদা ও ঔষধি চাহিদা পূরণ করে।
তিনি দক্ষতার সাথে প্রতিটি খাদ্যের পুষ্টি ও ঔষধি গুণাগুণ বর্ননা করেন এবং সকলকে এগুলো খাওয়ার জন্য সংরক্ষণ করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।” তিনি চারজন গর্ভবতী নারীকে মেলার অচাষকৃত খাদ্য, ডিম, কলা, পেপে, মিষ্টি আলু, সাজনাপাতাসহ ডালাভরা খাদ্য প্রদান ও নিজের তহবিল থেকেও পুষ্টি খাওয়ার জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন। প্রত্যেক গর্ভবর্তী নারীকে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ, এই তাপদাহে নিরাপদে চলাচল করার জন্য পরামর্শ প্রদান ও প্রত্যেককে একটি করে তালপাতার হাতপাখা প্রদান করা হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে ডাবের পানি, আমের ভর্তা, লেবুর শরবত দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
Leave a Reply