দিগন্ত ডেক্স : নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতি সরকারী কলেজে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহায়তায় সকল প্রাণের প্রতি সহিংসতা বন্ধ, প্লাষ্টিক দূষণ ও পরিবেশ সুরক্ষা, কার্বনদূষণকারী ধনী দেশের প্রতি লালকার্ড প্রদর্শন, কৃষিপ্রতিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক বক্তৃতামালা ও প্রকৃতি বন্ধনের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় নেত্রকোণা অঞ্চলের কৃষিপ্রতিবেশ ব্যবস্থা, প্রাণের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, প্লাস্টিক দূষণ ও পরিবেশের উপর এর প্রভাব বিষয়ে আলোচনা করেন, অধ্যক্ষ মো. আবুল কাসেম, সহযোগি অধ্যাপক রুনা লায়লা, মো. আজিজুর রহমান চন্দন ও বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান, কর্মসূচী কর্মকতা মো. মো.আলমগীর।
বক্তারা বলেন, মানবসৃষ্ট দূষণ ও জীবাম্ম জ্বালানির অতি ব্যবহারে ও জলাভূমির বিলুপ্তির কারণে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। বাড়ছে প্লাস্টিক দূষণ। জলবায়ু পরিবর্তনে বাড়ছে দুর্যোগ। দুর্যোগের ফলে কৃষিপ্রতিবেশ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ হচেছ। বিলুপ্ত হচেছ প্রাণবৈচিত্র্য। আমরা দিন দিন প্রকৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছি।
বক্তারা আরো বলেন, আমাদের চারপাশের পরিবেশকে নিরাপদ রাখার জন্য মানুষের নিজস্ব কৃষিব্যবস্থা, নিজস্ব জ্ঞান, ভূমিব্যবস্থাপনা প্রকৃতির ক্ষতি করেনা এমন চাষপদ্ধতির চর্চার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা অতি লাভ, লোভের আশায় মাটি পানি, বায়ু পরিবেশ প্রতিবেশকে নষ্ট করে ফেলছি। আমাদের এই আচরণের ফলে আবহাওয়া পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রকৃতির সকল প্রাণের প্রতি সহিংসা দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে প্রকৃতি সুরক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। একটি সবুজ পৃথিবীর জন্য আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। যে দেশের কার্বন দূষণের কারণে আজ আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। পৃথিবীর বাতাস তপ্ত হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সেইসব ধনী দেশের প্রতি আমাদের লালকার্ড প্রদর্শন করতে হবে।
আলোচনা শেষে, তেলিগাতি সরকারী কলেজের সবুজ ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির প্রতি সকল সহিংসতা রোধ, গাছকাটা বন্ধ, কার্বন দূষণ কমানো, নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করার জন্য প্রকৃতি বন্ধন করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্লেকার্ড প্রদর্শন করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা গাছ কাটিনা, আমরা গাছ লাগাই, “কার্বন দূষণ থামাও জীবন বাঁচাও” “তপ্ত নগর ঠান্ডা রাখে গাছ, আসুন গাছ লাগাই”, জলবায়ু পরিবর্তনে বাড়ছে দুর্যোগ, উদ্বাস্তু হচ্ছি আমরা”,“ ধনী দেশের মানুষেরা লোভ ও লাভের আশায় পৃথিবীকে মরুভূমি বানাচেছ” “তোমাদের ভোগবিলাস আমাদের দুর্যোগ, “আমরা বেঁচে আছি বৃক্ষের জীবনে, “বন-জলাভূমি-পাহাড়-বাঁচাই”, “জলবায়ু পরিবর্তনে বজ্রপাত বাড়ছে, মানুষ মরছে”, “প্রাণবৈচিত্র্য সুরক্ষায় তরুণ প্রজন্মসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।
Leave a Reply