দিগন্ত ডেক্স : ঢাকা থেকে ফারহান-৩ লঞ্চযোগে অন্যান্য যাত্রীর সঙ্গে ভোলার মনপুরায় বাড়ি ফিরছিলেন তিন বন্ধু। এর মধ্যে লঞ্চটি ফতুল্লার কাছে ঝড়ের কবলে পড়লে লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে যায় তিন বন্ধু। দুই বন্ধু সাঁতরিয়ে তীরে উঠলেও এক বন্ধু নিখোঁজ ছিল।
রোববার সকালে ঢাকার ফতুল্লা ব্রিজের কাছ থেকে নিখোঁজ ওই বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। অবশেষে ট্রলারযোগে রোববার রাত ১১টায় লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মনপুরা সরকারি ডিগ্রি কলেজের ছাত্র। সোমবার সকাল ১০টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রশিদ মাঝির বড় ছেলে মো. সোহেল। তিনি মনপুরা সরকারি ডিগ্রি কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র। পাশাপাশি ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়া অপর দুই বন্ধু হলেন মো. শফিকুল ইসলাম শাওন ও মো. হাসনাইন।
সোহেলের বাবা আবদুর রশিদ মাঝি জানান, ছেলে আমার জন্য নতুন পাঞ্চাবি, লুঙ্গি ও বাড়ির সবার জন্য মার্কেট করে লঞ্চ করে বাড়ি আসছিল। এবার সবাই মিলে ঈদে আনন্দ করব। কিন্তু আল্লাহ আমার ছেলের লইয়া গেছে বলে কেঁদে উঠেন বাবা রশিদ।
বাবা রশিদের অভিযোগ, লঞ্চ থেকে ছেলে পইড়া গেলেও লঞ্চের লোকজন তাদের খোঁজ না কইরা লঞ্চ চালাইয়া চইলা আসে। যদি লঞ্চের লোকজন তখন খোঁজ করত তা হলে ছেলে বাইচা যাইত। একই অভিযোগ করেন লঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে সাঁতরিয়ে তীরে ওঠা অপর দুই বন্ধু।
এ ব্যাপারে ফারহান-৩ লঞ্চের ঘাট সুপারভাইজারসহ লঞ্চের সুপারভাইজার মাসুদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা কিছু বলতে রাজি হননি।
তবে এ ব্যাপারে মনপুরা থানার ওসি সাইদ আহমেদ জানান, ঘটনার পর শুক্রবার রাত ১১টায় ফারহান-৩ লঞ্চের সুপারভাইজার মাসুদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, যারা পড়ে গেছে, তারা সবাই সাঁতরিয়ে তীরে উঠে গেছে। পরে নিখোঁজ সোহেলের পরিবার থানায় সোহেল নিখোঁজ রয়েছে বলে অভিযোগ করলে ফের লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি।
নিহত সোহেলের পরিবার আইনের আশ্রয় নেবে কি না- এমন প্রশ্নে ওসি জানান, যেখানে সোহেলের মরদেহ পাওয়া গেছে, ওই থানায় অভিযোগ করতে হবে।
Leave a Reply