দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : নেত্রকোনা জেলার সীমান্তবর্তী প্রাকৃতিক পরিবেশ নিয়ে গঠিত দুর্গাপুর উপজেলা। আগামী ৮মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১ম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এতে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৩ এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ৩জন সহ মোট ১৩জন প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশ নিবেন।
দিন যতই পার যাচ্ছে, প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখাগেছে প্রায় সকল প্রার্থীদের। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মাঝে উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আ‘লীগ নেতা সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ ‘‘কৈ মাছ’’ প্রতিক নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন, কাজের সফলতা ও ব্যর্থতা, দলীয় গ্রহনযোগ্যতা এবং তৃণমুল নেতাদের সাথে সখ্যতা, নানা প্রতিশ্রুতি, নির্বাচনে দলীয় নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহন সহ নানাবিষয় নিয়ে এক সাক্ষাতে সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বলেন, আর মাত্র কয়েকদিন পর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। উপজেলা আ‘লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা বলে, ওনাদের পরামর্শ নিয়েই এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি।
আমি বিগত পর্ষদে দুর্গাপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। আমি সম্পাদক থাকাকালীন সময়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, কিশোর গ্যাং ও মাদক কে কোন সময়ই সমর্থন করিনি। এলাকায় বন্যা, করোনা কালীন মহামারি, প্রাকৃতি দুর্যোগ সহ নানাবিধ সমস্যায় নেতাদের সাথে নিয়ে মাঠে কাজ করে গেছি। গ্রামের সাধারণ মানুষ যে কোন সমস্যা নিয়ে আমার কাছে এসেছে আমি তার সমাধান দিতে চেষ্টা করেছি। কোন প্রকার দাঙ্গা-হাঙ্গামা করতে দেইনি। তৃণমুল নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্তকে সব সময়ই প্রাধান্য দিয়েছি, অন্যায়ের সাথে কোন আপোষ করিনি, টাউট, বাটপার, দালালদের আশ্রয় দেইনি। আমি মনে করি, সেইদিক বিবেচনা করে, দলীয় নেতাকর্মীরা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।
আমি নির্বাচিত হলে এলাকার সাধারণ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী সুন্দর পরিকল্পনা মোতাবেক উপজেলার রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, স্যানিটেশন, সড়কবাতিসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করবো। দুর্গাপুর উপজেলা কে একটি আধুনিক উপজেলা পরিষদ হিসেবে গড়ে তুলতে সকল কাজ স্বচ্ছতার সহিত বাস্তবায়ন করবো। শুধু দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদই নয়, নিজেকে উপজেলাবাসীর সেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।
অনিয়ম ও দুর্নীতিরোধ সম্পর্কে তিনি বলেন, দীর্ঘ দিনের জঞ্জাল হয়তো অল্প সময়ের মধ্যে সমাধান করা সম্ভব নয়। তবুও আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই, আমি নির্বাচিত হলে, এই উপজেলায় কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, কিশোর গ্যাং, অনৈতিক কর্মকান্ড সহ মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায়ীর কোন আস্তানা থাকবে না। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেনো সকলের সহায়তা নিয়ে বিগত দিনের মতো সামনের দিন গুলোতেও, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় চলে জনগনের সেবা করে যেতে পারি, জয়বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু।
এসময় অন্যদের মধ্যে, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম শফিক, আ‘লীগ নেতা এমদাদুল হক খান, মো. আলী আসগর, আলহাজ্ব এডভোকেট মজিবুর রহমান, পৌর মেয়র আলহাজ¦ মাওলানা আব্দুস সালাম, সাবেক মেয়র শ.ম জয়নাল আবেদীন, মো. মোবারক হোসেন, শিক্ষক আজিজুর রহমান, আমিনুল ইসলাম সেজু, সফিকুল কবির হাবুল সহ আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।
এ নির্বাচনে, চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পারভীন আক্তার (ঘোড়া), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, ও উপজেলা আ.লীগ নেতা কবি আব্দুল্লাহ হক (আনারস), সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আ.লীগ নেতা কামাল পাশা (কাপ পিরিচ), উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান (কৈ মাছ), উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান নীরা (মটর সাইকেল), কুল্লাগড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নূরুল হুদা (দোয়াত কলম), যুবলীগ নেতা ফারুক আহমেদ (হেলিকপ্টার)। ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে গোলাম ফাহ্মী ভূঞাঁ (তালা), মো. ছায়েদুর রহমান (টিউবওয়েল), আব্দুল কাঈয়ুম খান (উড়োজাহাজ) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে জাকিয়া সুলতানা জবা (ফুটবল), শারমিন আক্তার (হাঁস) এবং তহুরা বেগম (কলস) মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১,৯৯,৬৭০, পুরুষ ভোট- ১,০০,৭৯৬, মহিলা ভোট- ৯৮,৮৭৩, হিজরা ভোট- ০১, ভোট কেন্দ্র সংখ্যা- ৬১। আগামী ৮ মে এ উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
Leave a Reply