সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন, মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. জালাল উদ্দীন।
এর আগে ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামা দুইজনকে আসামি করে গত ২৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পরে আদালত অভিযোগটিকে আমলে নিয়ে কলমাকান্দা থানা পুলিশকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। যার নাম্বার (৮ (১২) ২৩। তবে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন, কলমাকান্দা উপজেলার লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের নাজিম উদ্দীনের ছেলে প্রধান অভিযুক্ত মনির মিয়া (২৪), একই এলাকার মো. সালাম মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৩) ও হোসেন আলীর ছেলে দৌলত মিয়া (২২)। আদালতে অভিযোগের পর থেকেই তারা গা ঢাকা দিয়েছেন।
ভুক্তভোগীর মামলার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে ,অভিযুক্তরা প্রায় সময় মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করত অশালিন কথাবার্তা বলতো। ঘটনার দিন গত ১১ নভেম্বর ভুক্তভোগী তার মাকে বিষয়টি জানায়। পরে ওইদিন বিকেলে তার মা সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্যকে জানান। পরে অভিযুক্ত মনির মিয়াসহ তাদের অভিভাবকদের জানাতে গেলে ইউপি সদস্যসহ তার মায়ের ওপর চড়াও হন মনিরসহ তার লোকজন। এতে করে গুরুতর আহত হন তারা দুইজন। খবর পেয়ে ভুক্তভোগীসহ তার প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান । পরে আহতদের মুনিরের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পাশের এক বাড়িতে রেখে ভুক্তভোগী তার মায়ের কাপড় আনতে নিজ বাড়িতে যায়। সেই সুযোগে অভিযুক্ত যুবকরা তাকে মুখ চেপে ধরে বাড়ীর পাশের ধান ক্ষেতে নিয়ে যায়। পরে তাকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে ধান ক্ষেতে রেখে দ্রুত চলে যায়। পরে ভুক্তভোগী ডাক চিৎকার দিলে তাকে উদ্ধার করে স্বজনরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মনির মিয়ার বাবা নাজিম উদ্দীন বলেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে আমার ছেলেসহ অন্যরা এলাকায় ছিলই না । পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমাদের বসত বাড়ীতে মনিরের মা মিনারা খাতুনকে একা পেয়ে মেয়েটির মা মেম্বারনিসহ ও তার দুই ছেলে খোকন ও রায়হান মারপিট করে। এতে গুরুতর আহত হয় মিনারা খাতুন । এ ঘটনা দেখে পাশ্ববর্তী বাড়ীতে থাকা তার বোন বেদেনা খাতুন মারপিট থামাতে গেলে তাকেও আঘাত করে বাড়ীর উঠানে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। আর এখন মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমার ছেলেকেসহ তিনজনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। যাহা সম্পন্ন মিথ্যা। আমরা এর ন্যায় বিচার চাই।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নাজিম উদ্দীন বলেন, অন্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে এ দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন। যাহা মিথ্যা আমার জানামতে অভিযুক্তরা নির্দোষ।
কলমাকান্দা থানার ওসি (তদন্ত) মো. জালাল উদ্দীন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মাদ্রাসার ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলছে । আর এ মামলায় আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply