দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সেল এর আয়োজনে ‘‘তারুণ্যের উৎসব’’ কে কেন্দ্র করে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কুল্লাগড়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল বগাউড়া গ্রামের আড়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হাজংদের ঐতিহ্যবাহী চরমাগা উৎসব পালিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ উৎসব উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।
‘‘দেশের সংস্কৃতি – দেশের অহংকার’’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে নেত্রকোনা‘র জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে, বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি‘র নৃত্য শিক্ষিকা মালা মার্ত্থা আরেং এর সঞ্চালনায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি‘র উপ-পরিচালক জিয়া উদ্দিন আহমেদ, এস এম শামীম আকতার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি‘র পরিচালক গীতিকার সুজন হাজং, ডন বসকো কলেজের পরিচালক ফাদার কুচওয়ালিক, উপজেলা বিএনপি‘র সদস্য সচিব ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল, চিত্রশিল্পী বিশ্বজিৎ হাজং, গাঁও মোড়ল হরিদাস হাজং, বিশিষ্ঠ কন্ঠশিল্পী অনিমেষ হাজং প্রমুখ।
এছাড়া অন্যদের মাঝে, ডন বসকো কলেজের অধ্যক্ষ রুমন রাংসা, দুর্গাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি তোবারক হোসেন খোকন, সপ্তরেখা শিল্পী গোষ্ঠী (ঢাকা) এর পরিচালক উদয় শংকর বসাক, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজেস গৌড়, সাংবাদিক ওয়ালী হাসান কলি, রিফাত আহমেদ, আনিসুল হক সুমন, হাজং নেতা সুমন হাজং সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন সমস্যা ও তাদের জীবনমান উন্নয়ন, ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কাজ করে যাচ্ছে। দেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিকশিত করার লক্ষে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে সেগুলো রক্ষার জন্য কাজ করছে শিল্পকলা একাডেমি। কেউ আদিবাসী নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশি। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনা শেষে হাজং সম্পদায়ের ঐতিহ্যবাহী চরমাগা উৎসব নিয়ে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির শিল্পীগণ বিভিন্ন নৃত্য পরিবেশন করে এছাড়া বগাউড়া গ্রামের হাজং সাংস্কৃতিক দল ঐতিহাসিক ‘‘মহিষাসুর বধ’’ ও ‘‘কালী যুদ্ধ’’ পালা নান্দনিক অভিনয়ের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
Leave a Reply