রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ১০:৪৮ অপরাহ্ন

এই মাত্র পাওয়া

সংশোধন করা হলো খেজুরের নাম, প্রতিমন্ত্রীর দুঃখপ্রকাশ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪
  • ১০৪ পঠিত

দিগন্ত ডেক্স : খেজুরের দাম নির্ধারণ করার আদেশে একপ্রকারের খেজুরকে ‘নিম্নমানের খেজুর’ উল্লেখ করে এর দাম নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যপক সমালোচনা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে ‘নিম্নমানের খেজুর’ সংশোধন করে ‘সাধারণ মানের খেজুর’ লিখে নতুন চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ভুলের কারণে দুঃখপ্রকাশ করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী ভুলের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। 

এর আগে গত ১১ মার্চ খেজুরের দাম নির্ধারণ করে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ফ্রেস ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির কাছে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে প্রতি কেজি ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের খেজুর’ এর দাম ১৫০-১৬৫ টাকা এবং ‘বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর’ এর দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। পরে ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের খেজুর’ নির্ধারণ করে দাম বেঁধে দেওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বলা হয়, তাহলে কি সরকারই নিম্নমানের খেজুর আমদানিকে উৎসাহিত করছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ে ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের খেজুর’ এর নাম ‘সাধারণ মানের খেজুর’ করে নতুন চিঠি সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়।পরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার পরিস্থিতি উন্নত করার যে চেষ্টা এবং ভোক্তার অধিকার রক্ষায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, বিভিন্ন মহল থেকে আমরা এ বিষয়ে অনেক সাধুবাদ পেয়েছি। আমরা এ কাজটা কন্টিনিউ করতে চাই। এরমধ্যে আমাদের ছোটখাটো ভুল হয়, সেটাকে হাইলাইট না করে আমি সবসময় বলি এফোর্ডগুলোকে যদি একটু হাইলাইট করা হয়, যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো আমাকে বলা হয় তাহলে চলে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ট্রলিং হচ্ছে, আমাদের ছোট একটা, ছোট না আমি বলবো যে বড়ই ভুল আমাদের ভাষাটা ঠিক হওয়া দরকার ছিল। সাধারণ মানের জায়গায় শব্দটা একটু ই-হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেটা সংশোধন করে দিয়েছি, কিন্তু সেটা হাইলাইটেড হয়নি।

’প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানের খেজুর এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর- এ দুটি নামে সংশোধন করে দিয়েছি।

’আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমাদের ভুলত্রুটি যখন আমরা দ্রুত কাজ করতে যাই…আমরা চেয়েছিলাম প্রথম রমজানেই নোটিশটি দিয়ে দেওয়া। এক সপ্তাহ আগে তাদের বলেছিলাম স্ব-উদ্যোগী হয়ে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া। যেহেতু তারা গরিমসি করছিল, আমরা চাচ্ছিলাম প্রথম রমজান থেকে তাই তাড়াহুড়ায় আমাদের ভুল হয়ে গেছে। সেজন্য আমি বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
© All rights reserved © 2023 digantabangla24.com