রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন

এই মাত্র পাওয়া

শিক্ষককে চাকরিচ্যুত : আন্দোলন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৩৭ পঠিত

দিগন্ত ডেক্স : ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করার আদেশ বাতিল করে তাকে স্বপদে পুনরায় বহাল করার দাবিতে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করতে শুরু করেন তারা। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ক গল্প ‘শরীফ থেকে শরীফা’ প্রসঙ্গে বক্তব্য দিয়ে বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলার কারণে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ঘটনাকে বৈষম্যমূলক আচরণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আসিফ মাহতাব উৎস ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তার সাথে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কোনো চুক্তি নেই। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার কর্মী এবং তাদের চুক্তির গোপনীয়তা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্যাম্পাসে সবার মাঝে সহযোগিতামূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করে।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের দুটি পাতা ছিঁড়ে ফেলেন আসিফ মাহতাব।

আসিফের অভিযোগ, বইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে। এ সময় তিনি সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের ৮০ টাকা দিয়ে বইটি বাজার থেকে কিনতে বলেন। পরে বইয়ের ট্রান্সজেন্ডারের গল্প সংশ্লিষ্ট দুটি পাতা ছিঁড়ে আবার দোকানে ফেরত দিতে বলেন এই শিক্ষক।

এই ঘটনার পর রোববার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মাহতাব লেখেন, আজকে আমি ব্র্যাকে রেগুলার ক্লাস নিয়েছি। আমাকে এইমাত্র ফোন করে জানানো হয়েছে যে, আমি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ক্লাস নিতে না যাই। আমি জানি না হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত তারা কেন নিল। আমাকে কোনো কারণ তারা দেয়নি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
© All rights reserved © 2023 digantabangla24.com