কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার কলমাকান্দা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের জেষ্ঠ্যতা লঙ্ঘন করে জুনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগের সত্যতা মিলেছে। এ বিদ্যালয়ের জেষ্ঠ্যতম শিক্ষক আবুল কালাম মোহাম্মদ এমদাদুর রহমানের স্থলে জুনিয়র শিক্ষক এইচ এম ইলিয়াসকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
চলতি মাসের ১৪ তারিখ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা (মা-২) মো. তরিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত পত্রের এ বিষয়ের সত্যতা পাওয়া যায়। এরআগে জেষ্ঠ্য শিক্ষক এমদাদুর রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই অধিদপ্তরের গবেষণা কর্মকর্তা-১৪ (পরি ও উন্ন.) মো. শাহিনুর ইসলাম তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
মো. তরিকুল ইসলামের পত্র হতে জানা যায়, “তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ এবং বেসরকরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১১ এর ১৩ ধারা এবং শিক্ষা মন্ত্রালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে তার দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত পরিপত্র মোতাবেক জেষ্ঠ্যতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রথম এমপিওভুক্তির তারিখের ভিত্তিতে এমদাদুর রহমান জেষ্ঠ্য শিক্ষক বিবেচিত হবেন। ‘জেষ্ঠ্যতা লঙ্ঘনে’ তার অভিযোগটি সঠিক। এমতাবস্থায়, বিদ্যালয়টি সঠিকভাবে পাঠদান ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে জেষ্ঠ্যতম শিক্ষক আবুল কালাম মোহাম্মদ এমদাদুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বপালনের নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী এমদাদুল রহমান বলেন, কুটকৌশলের আশ্রয় ও হীন উদ্দেশ্যে এইচ এম ইলিয়াসকে জেষ্ঠ্যতা লঙ্ঘন করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হয়। যা আমি প্রথমে বুঝতে পারেনি। পরে সামাজিকভাবে মর্যাদা হেয় হওয়ার বিষযটি অনুধাবন করতে পেরে অভিযোগ করেছিলাম।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বপালনকারী এইচ এম ইলিয়াস বলেন, ২০২১ সালে ৭ জানুয়ারী প্রধান শিক্ষক অবসরে চলে যান। ওইদিন বিকেলে শিক্ষক কাউন্সিলের মিটিং হয়। তখনকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছিলেন স্কুলের সভাপতি। সেই মিটিংয়ে অভিযোগকারী ও মোশারাফ হোসেন এই দুজন সিনিয়র শিক্ষক আমাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বপালনের সম্মতি দেন এবং এ বিষয়ে রেজুলেশনও আছে। অভিযোগকারী নিজেও ইউএনও এর কাছে অনাপত্তি পত্র দিয়েছেন।
কলামাকান্দার ইউএনও আসাদুজ্জামান বলেন, তদন্ত হয়েছে শুনেছি। মন্ত্রণালায় কি নির্দেশনা দিয়েছি এর অনুলিপি আমাকে দিয়ে থাকতে পারে। তবে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যামিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফুর বলেন, তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ ব্যাপারে নিদের্শনাও প্রদান করেছে। আগামি ১৯ নভেম্বর (রবিবার) দুপুরের দিকে ওই বিদ্যালয়ে যাবো। সেদিন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক কার্যক্রম গ্রহণ করার কথা জানান তিনি।
Leave a Reply