কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: দীর্ঘ ১২ বছর পর রোববার থেকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী প্রসুতিসেবা কেন্দ্রে আবারো অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে। অবেদনবিদ ও গাইনি এই দুই চিকিৎসকের অভাবে ২০১৩ সাল থেকে এখানে সিজার করা সম্ভব হয়নি। তবে রোববার সেখানে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর সিজারের মাধ্যমে অস্ত্রোপচার আবারও চালু করা হয়।
কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সোহরাব হোসাইন লিংকন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নানা সমস্যার কারণে প্রায় ১২ বছর আমদের জরুরি প্রসূতিসেবা কেন্দ্রে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ ছিল। রোববার দুপুরে সফল ভাবে সিজারিয়ান অপাশেন করা হলো। এটা কলমকান্দা এর জন্য অনেক ভালো একটি সুযোগ। কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জুনিয়র কনসালেটেন্ট (গাইনি অ্যান্ড অবস) ডা. এলিজা নাহিদ কান্তা, জুনিয়র কনসালেটেন্ট (এ্যানেসথেলিওজি) ডা. সুমন আহমেদ, প্রসুতি সেবা কেন্দ্রের ইনচার্জ লিপি আক্তার ও নার্স সুজিতা ঘাগড়া সিজারিয়ান অপারেশনে যোগ দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এখানে অবেদনবিদ ও গাইনি বিশেষজ্ঞ পদে কেউ ছিলেন না। সিজার করতে হলে এ দুজন
বিশেষজ্ঞকে অবশ্যই থাকতে হয়। তাই বারো বছর ধরে অস্ত্রোপচারের সব ধরণের যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারীর সিজার করা সম্ভব হয়নি।
কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামের মো. জাকির হোসেন বলেন, রোববার সকালে তার স্ত্রী লুবনা জাহানকে নিয়ে সিজারের জন্য হাসপাতালে আসেন। দুপুর ২টায় অস্ত্রোপচার মাধ্যমে তার স্ত্রী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তিনি আরোও বলেন, বেসরকারি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার করা এক দিকে যেমন খরচ অন্যদিকে মানও খারাপ। ক্লিনিকগুলোতে আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। এসব বিবেচনায় তিনি কলমাকান্দা হাসপাতালে অনেক উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছেন। ডা. এলিজা কান্তা সহ অপারেশন সঙ্গে জড়িত সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এতে আমরা খুব খুশি। পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আল মামুন বলেন, এখানে গত এক বছর আগে অবেদনবিদ ডা. সুমন আহম্মেদ যোগদান করেছেন। কিন্তু গাইনি চিকিৎসক এলিজা নাহিদ কান্তা যোগদান করেছেন মাত্র তিন মাস আগে। এই দুজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যোগদান করায় ওই নারীর অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়েছে। এ কাজে তাকে হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও নেত্রকোনা-১ আসনের সংসদ সদস্য মানু মজুমদার সহায়তা করেছেন।
Leave a Reply