দিগন্ত ডেক্স : সকালের নাশতায় অনেকেই রুটি খেয়ে থাকেন। আবার বেশির ভাগ ঘরে রাতেও চল রয়েছে রুটি খাওয়ার। এই বিষয়টি দেখা যায় যাদের ঘরে ডায়াবেটিক রোগী রয়েছে তাদের ঘরে। রুটিতে গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স নামক উপাদান কম থাকায় রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক থাকে। তাই ডায়াবেটিক রোগীরা এ খাবারটি খেয়ে থাকেন।
এ ছাড়া আটায় থাকা সব ভিটামিন ও খনিজ উপকার দেয় শরীরকে। তবে আটার সঙ্গে কিছু উপাদান মেশালে রুটি আরো সুস্বাদু হয় এবং এর উপকারিতাও বাড়ে।
শীতে বাজারে খুব ভালো পালংশাক পাওয়া যায়। পালংশাক ব্লেন্ড করে তা দিয়ে আটা মাখতে পারেন। এক্ষেত্রে আলাদা করে আর পানি দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। পালংশাকে থাকা মিনারেল, ভিটামিন, ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস রুটিকে করে তুলবে আরো পুষ্টিতে ভরা।
রুটি বানানোর সময় আটায় মিশিয়ে নিতে পারেন ১-২ চামচ (২-৩টি রুটির জন্য এই পরিমাণ) ড্রাইফ্রুটস পাউডার। সকালের নাশতায় এভাবে রুটি বানিয়ে খেলে সারা দিনে কাজের উদ্যম পাবেন। ড্রাই ফ্রুটসের পুষ্টিগুণ নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই, সঙ্গে এটি রুটির স্বাদকেও একেবারে বদলে দেয়।
আটা মাখার সময় সামান্য কিছু মেথি দানা দিতে পারেন। এই রুটি খেলে ব্লাড সুগার কমে ও ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সঙ্গে লিভারের কার্যক্ষমতা ও হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ওজনকেও কমিয়ে দেয়।
আটার মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফ্ল্যাক্স সিড মেশালে তা হার্টকে সুস্থ রাখে এবং জয়েন্ট পেইনের ব্যথাকে আটকায় ও ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে আনে। আটা মাখার সময় এক চামচ জোয়ান দিয়ে মাখলে গ্যাস অম্বলের সমস্যা কমে ও হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সূত্র : আজকাল
Leave a Reply