দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বলতে কিছুই নেই, আমরা সবাই বাংলাদেশী। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি আয়োজিত গারো সম্প্রদায়ের ওয়ানগালা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি‘র মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে একাডেমি চত্ত্বরে এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধন শেষে একাডেমি মিলনায়তনে, নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে মালা মার্ত্থা আরেং এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকার সুজন হাজং। সম্মানীত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, আদিবাসী লেখক ও গবেষক রেভা: মনীন্দ্র নাথ মারাক। বিশেষ অতিথি‘র বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি‘র উপপরিচালক এস এম শামীম আকতার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর, সহকারি পুলিশ সুপার আক্কাস আলী, ডন বসকো কলেজের পরিচালক ফাদার পাওয়েল কুচওয়ালিক, দুর্গাপুর সেনা ক্যাম্প এর ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন নোমান, আদিবাসী গবেষক জন ক্রসওয়েল খকশি প্রমুখ।
এছাড়া উপজেলা বিএনপি‘র সাবেক সভাপতি এম জিন্নাহ্, ডন বসকো কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল রুমন রাংসা, ওসি মো. বাচ্চু মিয়া সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিবর্গ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী সহ বিভিন্ন আদিবাসী নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে, গারো সম্প্রদায়ের কৃষ্টি তুলে ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দল এবং উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করে।
প্রধান অতিথি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে সংস্কৃতিরও বিরাট ভুমিকা রয়েছে। দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর সংস্কৃতি রক্ষায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তৃণমুল পর্যায় থেকে শুরু করে নানবিধ কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর সংস্কৃতি নিয়ে, ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কে ক্ষুদ্র, কে আদিবাসী, কে গারো, কে হাজং তা ভুলে, দেশকে এগিয়ে নিতে সবাই বাংলাদেশি ভেবে কাজ করতে উপস্থিত সকলকে আহবান জানান তিনি।
Leave a Reply