নেত্রকোনা প্রতিনিধি : কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা মাটি-পানি-বায়ুর ক্ষতি না করে, নিজের পছন্দের খাদ্য উৎপাদন, বীজ সংরক্ষণ করা আন্তনির্ভরশীলতা এবং খাদ্যের সাংস্কৃতি, অর্থনৈতিক রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা করে। বাস্তুতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে। এই লক্ষ্যে নিয়ে, বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক‘র সহায়তায় মদন সবুজ সংহতি ও দক্ষিণ মদন কৃষি প্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্রের আয়োজনে “কৃষি প্রতিবেশবিদ্যা ও জলবায়ু ন্যায্যতা” শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক, শতবাড়ি মডেলের প্রতিনিধি, উদ্যোগী কৃষক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, যুবপ্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক সহ দুটি ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের ২০ জন কৃষক কৃষানি ও বারসিকের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থী দীপা বলেন, “হাওরের কৃষক খরা, বন্যা, আগামবন্যা, বজ্রপাত, বাঁধভাঙ্গা, পোকার আক্রমণ সামাল দিয়ে খাদ্য উৎপাদন করে বলেই আমরা খেতে পারি। অনেক দুর্যোগ মোকাবেলা করে শস্যফসল উৎপাদন করেন কৃষক। কিন্তু সেভাবে কৃষক ফসলের মুল্য পায়না।” যে কৃষি, কৃষিব্যবস্থাপনা, বীজ, সার, হাল ছিলো কৃষকের নিয়ন্ত্রণে সেই কৃষি ধীরে চলে গেলো কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে। টেকসই উন্নয়ন ও নিরাপদ জীবনের জন্য কৃষিকে কৃষকের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে।
কর্মশালার লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করেন, বারসিক কর্মসূচী কর্মকর্তা মো.আলমগীর, হাওরের কৃষি, বসতভীটায় সবজীচাষ, একফসল ধানের পরিবর্তে বৈচিত্যময় ফসলচাষ, জৈবিকৃষিচর্চা, কৃষির সাথে পরিবেশের সম্পর্ক, জলবায়ু ন্যায্যতা, পারিবারিক কৃষি চর্চা, স্থানীয়বীজ সংরক্ষণ, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি, দূষণ প্রতিরোধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান। আলোচনা শেষে আগত কৃষক-কৃষানিদের মাঝে বীজ বিতরণের মধ্যদিয়ে কর্মশালার শেষ হয়।
Leave a Reply