সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৮ অপরাহ্ন

এই মাত্র পাওয়া

চালকের আসনে পুলিশের এএসআই, জাদুকাটায় ড্রেজারে নদীর তীর কেটে বালি উক্তোলন,

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট : সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪
  • ৭১ পঠিত


স্টাফ রিপোর্ট : সীমান্তনদী জাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালি লুটের অভিযোগ পাওয়া পাওয়া গেছে। ওই বালি লুটে চালকের আসনে পুলিশের এক এএসআই জড়িত রয়েছেন বলে এলাকার মানুষজন অভিযোগ করেন।
রবিবার উপজেলার রাজারগাঁও, জাঙ্গালহাটি ছড়ার পাড় গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, উপজেলার ছড়ার পাড় গ্রাম সংলগ্ন সীমান্তনদী জাদুকাটার তীরে থাকা কয়েক একর খাঁস ভুমি নিজেদের মালিকানা দাবি করে একদল বালিখেকো চক্র ইঞ্জিন চালিত সেইভ মেশিন, ড্রেজার আবার কখনো নদীর তীর কেটে বালি ব্যবসায়ীদের বালি উক্তোলনের সুযোগ দিচ্ছে।

এভাবে গত ৮ থেকে ১০ দিন ধরেই পরিবেশধ্বংসী সেইভ, ড্রেজার মেশিনে কিংবা নদীর তীর কেটে কয়েক লাখ ঘনফুট বালি বিক্রি করে যাচ্ছে বালিখেকো চক্রের সদস্যরা।

উক্তোলিত প্রতিঘনফুট বালির বিপরীতে ২৪ থেকে ১৫ টাকা হারে বালির মূল আদায় করছে চক্রটি।
প্রতিদিন দিবাগত মধ্যরাত পরবর্তী ০২টা থেকে এ বালি লুটের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে সকাল ১ড়টার দিকে সমাপ্ত হয়। এভাবে প্রতিনিয়ত ১৫টি থেকে ২০টি বাল্কহেড বোঝাই করে সরকারি খাঁস ভুমি থেকে বালি উক্তোলন কর্মযজ্ঞ চালিয়ে সরকারী মূল্য, ভ্যাট আয়কর ছাড়াই কোটি কোটি টাকার বালি নিবর্েিগ্ন নিয়ে যাচ্ছেন কথিত ব্যবসায়ীরা।
এসব সরকারি খাঁস ভমির মালিকানা দাবি করে বালি উক্তোলনে সহযোগীতা করে  ছাড়ার পাড় গ্রামের জামাল, নয়ন,শাহেন শাহ,সাদ্দাম রতন,হাদিস সহ আরো কয়েকজন।

রবিবার উপজেলার ছড়ারপাড় গ্রামের ইছু মিয়ার ছেলে জামাল মিয়ার নিকট নদীর তীরকেটে বালি বিক্রির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের জমি থেকে আমরা বালি বিক্রি করছি।  

এলাকার ভোক্তভোগী মানুষজন অভিযোগ করেন, জাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালি বিক্রির কাজে গোপনে সহয়তা করে যাচ্ছেন থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই বাচ্চু ।

অভিযোগ উঠেছে  ওই এএসআই গোপনে জমির মালিক ও ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে নদীর তীর কেটে নেয়া প্রতিঘনফুট বালির বিপরীতে ৪ টাকা হারে টাকা আদায় করাচ্ছেন নিজে আবার কখনো কখানো ব্যাক্তিগত সোর্সদের মাধ্যমে।

উপজেলার ছড়ার পাড়, রাজারগাঁও, জাঙ্গালহাটি গ্রামের মানুষজনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী  নদীর কেটে বালি উক্তোলনে গোপনে সহায়তাকারি ও বালি উক্তোলনকাজে চালকের আসনে থাকা থানা পুলিশের নামে টাকা আদায় কারি থানা থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর’ (টু -আইসি) এএসআই বাচ্চুর নিকট অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা, আমি চেষ্টা করি নদীর তীর কেটে বালি উক্তোলন কাজ বন্ধ রাখতে।        

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
© All rights reserved © 2023 digantabangla24.com