কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় দ্রুত পাকা ধান কাটতে মাইকিং শুরু করেছেউপজেলা কৃষি বিভাগ। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপজেলায় হাওরভূক্ত এলাকায় আবাদকৃত বোরো ধানের মধ্যে প্রায় ৪০% ধান কাটা হয়েছে। বাকী ধানের মধ্যে বেশিরভাগ ধান পেকে গেছে।
স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে,এ বছর কলমাকান্দায় হাওরভুক্ত সদর, বড়খাপন, পোগলা এ তিনটি ইউনিয়নে হাওরে বোরো ধান আবাদ হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। আর নন-হাওরে আবাদ হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে। মোট (হাওর ও নন-হাওর মিলে) আবাদ হয়েছে ২১ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ মে: টন। এর মধ্যে প্রায় ২০ হেক্টর জমির বোরো ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছ।
গত কয়েক দিন ধরে হাওরের ধান কাটা শুরু হয়েছে। মেদা বিল, গোড়াডোবা, জাঙ্গিয়া, নাগডড়া, বাসাউড়া, মহিষাশুড়া, সোনাডুবি, মান্দুরা, পিটুয়া, ডগড়া, মেদিরকান্দা হাওরে এখন পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি শ্রমিকদের পাশাপাশি যন্ত্র দিয়েই চলছে ধান কাটা ও মাড়াই।
কৃষক আবুল মিয়া বলেন, এ বছর তিনি আট একর জমিতে ব্রি-২৮ ও ব্রি-৮৮ জাতের ধান রোপন করে ছিলেন। বুধবার ও বৃহস্পতিবার এই দুই দিনে তিনি কম্বাইন হার্ভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে তিন একর জমির ধান কেটেছেন। বাকী ধানও পেকে
গেছে দু’তিন দিনের মধ্যে বাকীটুকুও কেটে ফেলব। এ বছর পানি না আসায় আর কোনো দুর্যোগ না হওয়ায় আমরা খুশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যেই উপজেলায় হাওরভূক্ত এলাকায় আবাদকৃত বোরো ধানের মধ্যে প্রায় ৪০ ভাগ বোরো ধান কাটা হয়েছে। এদিকে মাইকিং প্রচার ও মাঠ দিবসে এবং মসজিদের মাধ্যমে অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল এবং বৈরি আবহাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ৭০%/৮০% পাকলেই ২৩ এপ্রিলের মধ্যে হাওরের ধান কাটার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply