দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেলে রাখা অনাবাদি জমিতে কৃষি সম্প্রসারণ দুর্গাপুর এর পরামর্শে তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে বাজারজাতও করছেন চাষীরা। দামও ভালো পাওয়ায় চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। এ বছর তরমুজ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কৃষকরা। আগামীতে আরও বেশি জমিতে তরমুজ আবাদের পরিকল্পনা করছেন তারা।
এ নিয়ে বুধবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চাষীরা ব্যস্ত রয়েছেন ক্ষেত থেকে তরমুজ উঠাতে। এমন বাম্পার ফলনে তরমুজ চাষীদের মুখে ছড়িয়ে পড়েছে হাসির ঝিলিক। প্রতিদিন তরমুজ ক্ষেত থেকে উৎপাদিত তরমুজ পাইকারি ক্রেতারা এসে নিয়ে যাচ্ছে। এবার কাঙ্খিত পরিমাণ ফলন পেয়ে উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হতে পারবেন বলে মনে করছেন চাষিরা। অন্যদিকে রমজানে তরমুজের বাড়তি চাহিদা থাকায় বাহিরের তরমুজের তুলনায় এলাকার তরমুজ বিক্রি হচ্ছে দেদারসে।
কাকড়াকান্দা গ্রামের তরমুজ চাষী নুরুল হক বলেন, এ বছর তরমুজ ভালোই হইছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় বড় কোনো ঝড়ঝাপটা না হওয়ায় এবার ভালোই ফসল পেয়েছি। অনেক ক্রেতাই জমি থেকে তরমুজ কিনে নিচ্ছে। আমরা ছোট বড় মাঝারি তরমুজ প্রতি পিস ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছি। স্থানীয় বাজারে নিলে হয়তো আরো বেশি দাম পাওয়া যেতো।
তরমুজ চাষী কবির হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের অনুপ্রেরণায় এই প্রথম পতিত জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এ তরমুজ চাষে সফলতায় আগামী মৌসুমে আরো ব্যাপকভাবে তরমুজ চাষের পরিকল্পনা রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান বলেন, ওই এলাকার ১২ হেক্টর ফেলে রাখা জমিতে তরমুজ চাষ করেছে কৃষকরা। কৃষি অফিসের সহায়তায় ওই জমিতে তরমুজ চাষ হওয়ায় বাম্পার ফলন পেয়েছে চাষীরা। অন্যান্য ফসলের চেয়ে তরমুজ চাষে লাভ বেশি। চাষীরা ভালো দামে বিক্রিও করতে পারছেন। চলতি মৌসুমে তরমুজ চাষের সফলতা দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন স্থানীয় অন্যান্য কৃষকরা। আমরা আশাবাদী আগামী মৌসুমে এই উপজেলার অন্যান্য এলাকাতেও ব্যাপকহারে তরমুজ চাষ হবে।
Leave a Reply