দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ‘নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার যেনো বেড়েই চলেছে। মুদির দোকান, মাংসের দোকান, কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে ফুটপাতের প্রায় সব দোকানের পণ্য বহনে ব্যবহৃত হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। সহজলভ্য ও ব্যবহারে সুবিধা থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই ক্ষতির দিক বিবেচনা না করে অবাধে ব্যবহার করছেন পলিথিন ব্যাগ।
এ নিয়ে মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও পৌর শহরের ছোট-বড় বাজারে এখন দেদারছে বিক্রি ও ব্যবহার করা হচ্ছে পলিথিন। পৌরশহরের সব দোকানে দোকানে পলিথিন পৌঁছে দেয় কয়েকজন পলিথিন ব্যবসায়ী। গ্রামের প্রায় প্রতিটি হাট-বাজারে পলিথিন ব্যাগের পাইকারি দোকানও চোখে পড়ে। এদিকে পবিত্র রমজান মাসকে ঘিরে হাট-বাজারে কেনা-বেচা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পলিথিনের অতিরিক্ত ব্যবহারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারে যেমন মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি করছে তেমনই পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া জমির উর্বরতা হ্রাস, শহরের ড্রেনের পানি নিষ্কাষণে সমস্যা সহ সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। পলিথিন নিয়ে প্রশাসনের তেমন কোনো মাথা ব্যথা নেই বলে মনে করছেন শহরের সচেতন মহল।
এ নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানেই পাইকারি পলিথিন বিক্রি করা হয়। ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের পলিথিন প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। এছাড়াও কিছু অসাধু পলিথিন ব্যবসায়ী শহরের বিভিন্ন দোকানে দোকানে গিয়ে রাঁতের আঁধারে পৌঁছে দেয়।
বাজারে আসা মো. লতিফ মিয়া বলেন, মাছ কেনার পর মাছ বিক্রেতা পলিথিন দিচ্ছে, আলু কিনছি সেটিতেও পলিথিন, ডিম কিনবেন সেখানেও পলিথিন। পলিথিন ছাড়া কোথাও কোনো উপায় নেই। ফলে আমাদের সেগুলোই ব্যবহার করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজিব-উল-আহসান সাংবাদিকদের জানান, ইতোমধ্যে বাজারে বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। পলিথিন নিয়েও পৃথকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply