নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ-গাগলাজুর সড়কটি ভেঙে বছরের পর বছর ধরে চলাচল অনুপযোগী হয়ে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, লাখো মানুষ চলাচলের ওই সড়ক পথটি প্রায় ৮ বছর পূর্বে কার্পেটিং (পাকা) করা হয়। কাজ শেষ হবার দু-তিন বছর পর থেকেই ছোট বড় গর্ত সৃষ্টির মাধ্যমে ১৭ কিলোমিটারের এ সড়কটিতে ভাঙন ধরেছে। এক পর্যায়ে ভাঙতে ভাঙতে সড়কটি দুই বছর ধরে চলাচলের প্রায় পুরোই অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে । ভারি যানবাহন খুব একটা না চললেও শুধুমাত্র নি¤œ মানের কাজ করার কারণে অল্প দিনেই সড়কে এ অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে ভূক্তভোগী অনেকেই জানিয়েছেন।
মোহনগঞ্জ পৌর মেয়র এড্ভোকেট লতিফুর রহমান রতন বলেন, এ সড়কটি এলজিইডি’র অধিনে। তাদের এ সড়ক পাকা করণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি ছিল বলেই সড়কটি বেশি দিন ঠিকেনি। কাজ শেষ হবার কিছু দিন যেতে না যেতেই এ সড়ক ভেঙে গেছে। ফলে এ সড়কে প্রায় প্রতিদিনই যানবাহন উল্টে ঘটছে ছোট বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা। সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী ৫টি ইউনিয়নের মানুষ রয়েছে চলাচল ভোগান্তির চরম পর্যায়ে।
মোহনগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন জানান, ১৭ কিলোমিটারের ওই সড়কের ৬ কিলোমিটার রয়েছে উঁচু স্থানে সারা বছর ব্যাবহার উপযোগী অবস্থায়। বাকি ১১ কিলোমিটার আছে শুধুমাত্র শুকনো মৌসুমে চলাচল উপযোগী সাব-মার্জেবল সড়ক। সাব-মার্জেবলের অংশটুকু জৈষ্ঠ থেকে কার্তিক পর্যন্ত প্রায় ছয় মাস থাকে পানির নীচে।
তিনি আরো জানান, এ সড়কের ১৭ কিলোমিটার জুড়েই ভঙন থাকায় তা সংস্কার করার জন্য দু-বছর পূর্বে লিখিত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট উপর মহলে। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় এ প্রস্তাব পাস হচ্ছে না। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিশেষ প্রচেষ্টায় সড়কটির মোহনগঞ্জ থানা মোড় থেকে মাকার্স পর্যন্ত ১ কিলোমিটার অংশে আরসিসি কাজ বাস্তবায়নের ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়েছে। দ্রুতই এ কাজটি শুরু হবে বলেও জানান তিনি। মোহনগঞ্জ-