দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : হাজং স¤প্রদায়ের দেউলী পৌষ উৎসব বিলুপ্তির কারণ ও সংরক্ষণের উপায় বিষয়ে, আদিবাসী কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে এবং ইউনেস্কো ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সহযোগিতায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দিনব্যাপি একাডেমি মিলনায়তনে কর্মশালার উদ্বোধন করেন, বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকবি সুজন হাজং।
আদিবাসী কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কবি মং এ খেন মংমং এর সভাপতিত্বে, কবি দোলন হাজংয়ের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধপাঠ করেন বাংলাদেশ জাতীয় হাজং সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক পল্টন হাজং। আলোচক হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, হাজংমাতা রাশিমণি মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য বিপুল হাজং, হাজং লেখক ও গবেষক হরিদাস হাজং, গাঁওমোড়ল ও চিত্রশিল্পী বিশ্বজিৎ হাজং রুপক, এমকেসিএম পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাসেল হাজং, ভালুকা ভালুকাপাড়া সেন্ট তেরেজাস উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনঞ্জুশ্রী হাজং, নারী নেত্রী সন্ধ্যা রাণী হাজং, শেফালী হাজং প্রমুখ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে গীতিকবি সুজন হাজং বলেন, হাজংরা উৎসবপ্রিয় এক সংস্কৃতিবান জাতি। তাদের ঐতিহ্যবাহী দেউলী ও পৌষ উৎসব বিলুপ্তির মূল কারণ হচ্ছে দূর্বল আর্থসামাজিক অবস্থা। নতুন প্রজন্ম যদি তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক চেতনাবোধ লালন করে তাহলেই দেউলী উৎসব সংরক্ষণ করা সম্ভব।
আদিবাসী কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা ইউনেস্কো এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, অর্থনৈতিক টানাপোড়েন ও সাংস্কৃতিক বৈরী পরিবেশ, হাজংদের জাতীয় ও সাংস্কৃতিক চেতনা থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। তবে উৎসব পালনের ক্ষেত্রে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে হারানো সংস্কৃতি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব বলে একমত প্রকাশ করেন। তাদের সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করতে সকলকে আহবান জানানো হয়
Leave a Reply