নেত্রকোনা প্রতিনিধি : ৩ জুলাই আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক ব্যাগ মুক্ত দিবসে নেত্রকোনা প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহযোগিতায় সবুজ সংহতি, অক্সিজেন যুব সংগঠন, ফুলকলি কিশোরী সংগঠন ও মানব কল্যাণ পরিষদ এর আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় যুব সংগঠনের পাশাপাশি সমমনা সংগঠন তামান্না মহিলা উন্নয়ন সংস্থা, রুপালী মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালকগণ, এনজিও সংগঠক এএসএম জামি, বৃক্ষপ্রেমিক আব্দুল হামিদ, সাংবাদিক লেখক, পরিবেশকর্মী, শিক্ষার্থী, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান ও স্থানীয় শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
মানবন্ধন চলাকালীন আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আলোচনার টেবিলে আমরা সবাই সচেতন। কিন্তু ব্যবহারের দিক দিয়ে সবাই ব্যবহার করছি নিষিদ্ধ পলিথিন। জেলা, উপজেলা, বিভাগ ঘোষণা করে লাভ কি হচেছ যদি এর কোন কার্যকর অভিযান পরিচালনা করা না হয়। আমরা করোনার জন্য যেভাবে প্রচার অভিয়ান পরিচালনা করেছিলাম, ঠিক সেভাবেই প্রচার ও আন্দোলন শুরু করতে হবে পলিথিনের বিরুদ্ধে। তা নাহলে ভয়াবহ দিন সামনে অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।
পলিথিন ব্যাগ যেন মানব জাতির গলার কাটা। সরকার, উৎপাদক, ব্যবহারকারী সকলের সচেতনতা ও ধারাবাহিক সামাজিক আন্দোলনের মধ্যদিয়েই প্লাস্টিক আগ্রাসন রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। উৎপাদন থেকে দোকান, দোকান থেকে পরিবেশে, পরিবেশ থেকে মানবদেহে, সভ্যতার নীরব ও সরব ঘাতক এই পাস্টিক ব্যাগ। সাগর, নদীতে, হিমালয়ের চূড়া, ধানের জমি, মাটি, খাদ্যের মোড়কে, ফ্রিজে, মানুষের রক্তে, খাবার টেবিলে, সমুদ্র সৈকতে, ড্রেনে সব স্থানে ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে প্লাস্টিক ব্যাগের উপকরণ, মিশে আছে মরণ কণা প্লাস্টিক।
উল্লেখ্য ঃ আইন করে ২০০২ সালে প্লাস্টিক জাতীয় পলিথিন উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি নিষিদ্ধ পলিথিন সামগ্রী উৎপাদন, আমদানি বা বাজারজাত করে তাহলে ১০ বছরের কারাদ- বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা এমনকি উভয় দ- হতে পারে।
আইন ফাইল বন্দি থাইলেই হবেনা। ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে হবে আমাদের। বিপন্ন পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মানুষের মধ্যে সচেতনতাও জরুরি। পাটের ব্যাগ হতে পারে এর বিকল্প। তা না হলে এই পৃথিবীতে শুধু প্লাস্টিক থাকবে, মানুষ থাকবেনা। এনিয়ে সকলকে সচেতন হওয়ার জন্য আহবান জানানো হয়।
Leave a Reply