শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৩ অপরাহ্ন

এই মাত্র পাওয়া

পিতার চিকিৎসার টাকা যোগাতে এসএসসি পরীক্ষা দেয়া হলোনা ছেলের

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট : রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ২৩৫ পঠিত

নেত্রকোনা প্রতিনিধি : বারহাট্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দিনমজুর রহমত আলী, বিচার চেয়ে বছরের পর পার হলেও বিচার না পেয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়েই দিন কাটছিলো তার। প্রায় দেড় বছর পর মোটরসাইকেলের চালকের বিরুদ্ধে বারহাট্টা থানায় এক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত ভূক্তভোগী দিনমজুর।

গত বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ন্যায় বিচারের আশায় ভুক্তভোগী থানাতে এসে পরিকল্পিত দুর্ঘটনার বর্ণনা দেন। বিস্তারিত দুর্ঘটনা শুনে বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রফিকুল ইসলাম অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইসলামপুর গ্রামের ইসলামপুর জামে মসজিদের মেইন রোডে পাকা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আশেপাশে লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরবর্তিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক রহমত আলীর উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

ভুক্তভোগী দিনমজুর রহমত আলী জানায়, গত বছরের ২ এপ্রিল ২০২২ সালের সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বিরামপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে গ্রামের মসজিদের পাকা রাস্তার সামনে অতিথপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে আলমগীর (মোটরসাইকেল চালক) পূর্ব শুক্রতার জেরে পরিকল্পিত ভাবে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেপরোয়া গতিতে ধাক্কা দিয়ে গুরুতর আহত করে। সরকারি-ব্যসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে এখন সর্বশান্ত হয়ে গেছি। চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফেরার পর ভুক্তভোগী পরিবার ও গ্রামবাসীর কাছে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানালে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বারবার সালিশ করার আশ্বাস দিলেও আলমগীরের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।

দুর্ঘটনায় এখন আমার একটি পা হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিছানায় বসে বসেই দিন কাটছে আমার। আমি এর সঠিক বিচার চাই। পায়ের চিকিৎসার জন্য দেড় বছরে প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ করে নিঃস্ব হয়েছি। বর্তমানে বাড়ি-ভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই আমার। দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে আশিক আমার চিকিৎসার খরচ যোগাড় করতে গিয়ে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দেয়নি। বর্তমানে চট্টগ্রামে দিনমজুরের কাজ করছে। ছোট ছেলে সাকিব (১৫) অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। টাকার অভাবে তাকেও আর পড়াতে পারছি না। বর্তমানে সাকিব এলাকাতে ভ্যানগাড়ির শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। এভাবে কোন মতো আমাদের সংসার চলছে। স্থানীয় প্রশাসন সহ দেশবাসীর কাছে আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।

মোটর বাইক চালক আলমগীর কাছে দুর্ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে, সে বিষয়টি এড়িয়ে যায়, তার কোন ডাইভিং লাইসেন্স ও মোটরসাইকেলের কোনো কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে কোন কাগজ নেই বলে জানান।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
© All rights reserved © 2023 digantabangla24.com