কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : দোকানের লুঙ্গি, গামছাসহ মালামাল গুলো ছিল তার মূল পুঁজি। আব্দুল জলিল তার ক্ষুদ্র ব্যবসায় একটু একটু সঞ্চয় দিয়ে গড়ে তুলেন পুঁজি । ওই দোকানঘরটি মাসে দুই হাজার ২০০ টাকায় ভাড়া নিয়েছিল সে। এখান থেকে যতটুকু আয় হতো তা থেকে সাংসারিক খরচ মিটিয়ে ছয় সন্তানের মধ্যে ময়মনসিংহে তার দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালাতো। এক ছেলে নাঈম হোসেন ময়মনসিংহ সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের বিএড (অনার্স) ৩য় বর্ষে ও এক কন্যা খাদিজা আক্তার আনন্দ মোহন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স এ অধ্যায়নরত। আরেক ছেলে রায়হান হোসেন (১৪) কলমাকান্দার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ে ও ছোট ছেলে জুনাইদ হোসেন (১০) স্থানীয় একটি কওমি মাদরাসায় হাফেজি শিক্ষা নিচ্ছেন। অন্য দুই কন্যার মধ্যে বড় জান্নাতুল ফেরদৌসকে (২৬) বিয়ে দিয়েছেন ও ছোট আরিফা আক্তার (৫) । ক্ষুদ্র ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের আয় দিয়ে কোন রকমই চলছিল তার পরিবার । আগুনে পুড়ে তার পুঁজি পুড়ে ছাই হয়ে গেল। এখন সে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তার চোখে মুখে হতাশার ছাপ।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দিনগত রাতে প্রায় ১টার দিকে কলমাকান্দা সদরের রেন্টিতলা মোড় তালাবদ্ধ কাপড়ের দোকান ঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে । এতে করে আনুমানিক তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি হয় দোকানি আব্দুল জলিলের।
তার বাড়ী হচ্ছে কলমাকান্দা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম বাজার ডেইনপাড় এলাকায়। মৃত ওমর আলীর ছেলে। সেইদিন রাতে মুষলধারে বৃষ্টি থাকায় ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. আওয়াল, শ্রমিক নেতা হুমায়ন বিশ্বাস, পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারাসহ ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় মধ্য রাতে কলমাকান্দা রেন্টিতলায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হন । এতে করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যায় রেন্টিতলার বেশ কয়েকটি দোকানঘরসহ কর্মকার পট্টির বাড়ি ঘর।
Leave a Reply