দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বেড়েছে বন্যহাতির তান্ডব। গত সোমবার (৮ মে) থেকে সীমান্তের ওপার থেকে দলবেঁধে নেমে আসা এসব হাতির তান্ডবে বিনষ্ট হচ্ছে বোর ক্ষেতের উঠতি ফসল। বন্যহাতি তাড়াতে গিয়ে হাতির আক্রমনে প্রতিনিয়ত আহত হচ্ছেন কৃষকেরা।
এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, গত তিন দিন ধরে প্রায় চল্লিশ-পয়তাল্লিশটি ছোট বড় বণ্য হাতির একটি দলকে সীমান্তবর্তী বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট, ভবানীপুর, দাহাপাড়া এলাকার অভ্যন্তরে ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে। তবে কোন পথে কিভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তা কেউ বলতে পারছেন না। প্রায়ই বোর ধান ক্ষেত সহ অসংখ্য আদিবাসীদের বাড়ীঘর লন্ডভন্ড করে ফেলছে। ইতোমধ্যে ভবানীপুর এলাকায় কমপক্ষে দুই একর জমির ফসল বিনষ্ট করেছে হাতির এই দলটি।
দাহাপাড়া গ্রামের আদিবাসী নেত্রী সুচনা সাংমা বলেন, প্রতিবছরই বণ্যহাতির দল খাদ্যের খোঁজে ভারতীয় সীমানা পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলে আসে। এবছর হাতি ফসলের ব্যপক ক্ষতি করেছে। ফসল রক্ষার জন্য হাতি তাড়াতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। আমরা প্রতিদিনই রাত জেগে আগুন জ্বালিয়ে, বিভিন্ন আতশবাজী ফুটিয়ে হাতি তাড়াতে কাজ করছি।
বিজয়পুর এলাকার বাসিন্দা প্রাঞ্জল ম্রং জানান, গত কয়েকদিন আগেই ফারংপাড়া গ্রামের কৃষক সাহেব আলী (৫১) হাতির আক্রমণে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। অত্র এলাকায় এবছর বন্য হাতির আক্রমনে ৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আমরা প্রতিদিনই চরম আতঙ্কে দিনাতিপাত করছি। এ নিয়ে দুই দেশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এর সঠিক সুরাহা না করেন, তাহলে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সীমন্তবর্তী এলাকা ছেড়ে দিতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, হাতির তান্ডবে এ পর্যন্ত প্রায় দুই একর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারঃ) মো. আরিফুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তালিকা করে ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্থ্যদের মাঝে কিছু সহায়তাও প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply