বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন

এই মাত্র পাওয়া

দুর্গাপুরে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট : রবিবার, ৭ মে, ২০২৩
  • ১৩৪ পঠিত

দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সুসঙ্গ আদর্শ বিদ্যানিকেতন বিদ্যালয়ের বিভিন্ন নিয়োগ ও মেয়াদ উত্তীর্ন পরিচালনা কমিটি বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয়ের এসএমসি কমিটির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকাবাসী সহ স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি।

অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, গত ১১ মার্চ ২০২২ তারিখে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি শুন্য হয়। বিধিমোতাবেক প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত, ওই প্রতিষ্ঠানে সহকারি প্রধান শিক্ষক না থাকলে এমপিওভুক্ত সিনিয়র শিক্ষকের মধ্যথেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্ত সরকারি প্রজ্ঞাপন গোপন করে স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক একেএম ইয়াহিয়া এসএমসি কমিটিকে ভুল বুঝিয়ে বে-আইনি ভাবে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ গ্রহন করেন। নিয়োগের পর থেকেই নানা অজুহাতে হাতিয়ে নিচ্ছেন বিদ্যালয়ের মোটা অঙ্কের টাকা এবং এসএসসি কমিটির মেয়াদ উত্তীর্নের পরেও তার নিজস্ব প্রতিনিধি দিয়ে পুনরায় বিধি বহির্ভুত একটি কমিটি নিয়ে এসে ওই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শুন্যপদ গুলোতে নিয়োগ দেয়ার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষসহ প্রার্থীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার চুক্তিতে আবদ্ধ হন। পরবর্তিতে এ বিষয়টি জানতে পেরে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী অভিভাবক মো, আশরাফ উল আলম বাদী হয়ে উক্ত নিয়োগ এবং অবৈধ এসএমসি কমিটির বাতিল চেয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত দুর্গাপুর চৌকিতে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন। যাহার মোকদ্দমা নং ১৬২/২০২৩খ্রিঃ। ওই মোকদ্দমার আলোকে বিদ্যালয়ের কমিটি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া কেন বন্ধ হবেনা জানতে চেয়ে এক কারন দর্শানোর এক নোটিশ জারী করেন বলে জানান ওই মামলার আইনজীবী মো. আব্দুল ওয়াহাব। পরবর্তিতে আদালতের ওই নোটিশ উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের এসএমসি কমিটি, চুক্তিভিত্তিক প্রধান শিক্ষক একেএম ইয়াহিয়া ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজসে গত ৬ মে ২০২৩খ্রিঃ তারিখে বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর ২টি ও সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহন করেন।

মামলার বাদী মো. আশরাফুল আলম বলেন, আদালত কারন দর্শানোর নোটিশ জারী করার পরেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিভাবে এ নিয়োগ পরীক্ষা নিলেন তা প্রশ্নবিদ্ধ। এ মোকদ্দমা করায় বিভিন্ন মহল থেকে আমায় হুমকী-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে, বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ নিয়ে রোববার সকালে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে আদালতে নিষেধাজ্ঞার কথা শুনেছি কিন্ত আমার হাতে কোন কাগজপত্র পাইনি, এ নিয়ে আমি আপনার সাথে পরে কথা বলবো।

এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মেহের উল্লাহ্ বলেন, মামলা বিষয়ে আমি কিছু জানিনা, নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রে ছিলাম তবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওখান থেকে আমি চলে এসেছি। পরে কি হয়েছে এ ব্যপারে আমি কিছু জানিনা।

নিয়োগ নিয়ে এসএমসি সভাপতির সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে, তার ফোন বন্ধ থাকায় কোন মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
© All rights reserved © 2023 digantabangla24.com