অহিদুর রহমান, নেত্রকোনা থেকে : নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার চন্দ্রডিঙ্গা গ্রামের পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া পাহাড়ী ছড়া ভরাট হওয়ার কারণে চন্দ্রডিঙ্গা, বাঘবের, বেতগড়া গ্রামের প্রায় ৪০০ একর কৃষি জামি পাহাড়ী ঢলের কারণে বালিতে ভরাট হয়ে ফসল চাষের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। জমিতে কোন ফসল উৎপাদন হয়না। গ্রাম বাসির দীর্ঘদিনের দাবী ছড়াটি খনন হলে রক্ষা পাবে কৃষিজমি, বসতভীটা ও তিন গ্রামের হাজং, গারো ও মুসলিম পরিবারের জীবনযাত্রা।
এরই প্রেক্ষিতে দ্যা প্লানেট এসোসিয়েশন (জাপান) এর আর্থিক সহায়তায়, চন্দ্রডিঙ্গা বাঁধরক্ষা কমিটি আয়োজনে ও বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহায়তায় বুধবার বিকেলে পাহাড়ী ঢলের বালিতে ভরাট হয়ে যাওয়া চন্দ্রডিঙ্গা গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত পাহাড়ি ছড়ার খনন কাজ উদ্বোধন করা হয়।
ছড়ার খনন ও পাড় বাঁধায়ের কাজ উদ্বোধন করেন কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক তালুকদার, রংছাতি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি সাইদুল হক, চন্দ্রডিঙ্গা বাঁধ রক্ষা কমিটির সভাপতি সুনীল ¤্রং, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি সুবিমল ¤্রং, পরিমল রেমা, কলমাকান্দা প্রেসক্লাবের সম্পাদক মো.ফখরুল আলম খসরু, দপ্তর সম্পাদক প্রান্ত সাহা বিভাস, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান, সহযোগি সমন্বয়কারী শংকর ¤্রং, রনিখান, গুঞ্জন রেমাসহ গ্রামবাসি।
উল্লেখ্য যে পাহাড়ী ছড়াটি খননের জন্য চন্দ্রডিঙ্গা, বাঘবের, বেতগড়া গ্রামের মানুষ স্থানীয় ও উপজেলা ও নেত্রকোণা জেলা পর্যায়ে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, জনসংলাপের আয়োজন করে দাবী উত্তাপন করে আসছিলেন। চন্দ্রডিঙ্গা গ্রামের আদিবাসি ও বাঙ্গালী কৃষকেরা ছড়াটি খননের দাবী করে আসছিলেন। বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে পাহাড়ী ঢলে এলাকার কৃষিজমি জনমানুষের বসতভীটা ও জীবনযাত্রার মান স্বাভাবিক করতে ছড়াটি খননের উদ্যেগ গ্রহণ করে।
Leave a Reply