বাংলাদেশ সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ) বিধিমালা ২০২২ সংশোধন করা হয়েছে। নতুন বিধিমালায় স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ যাতে ক্ষুণ্ন না হয় এবং তারা যাতে লাভবান হতে পারেন, সেসব বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সংশোধিত আইনটি সঠিকভাবে বুঝলে, জানলে ও সঠিক পরিপালন করলে দীর্ঘমেয়াদে কোম্পানিগুলোর উন্নতি হবে এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের (ডিএসই) লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট আয়োজিত ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধিকরণ) বিধিমালা ২০২২’ বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির ব্যক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএসইর প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শেখ শামসুদ্দীন আহমদ বলেন, বিধিমালাটি নিয়ে আজকের এই কর্মশালা। পুরাতন বিধিমালায় বেশকিছু গ্যাপ ছিল। এই গ্যাপের কারণে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান সেগুলোকে তাদের মতো করে প্রয়োগ করেছে। এতে কোম্পানি এবং কোম্পানির বিনিয়োগকারী কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে পারেনি। তাই, স্টেকহোল্ডার, বিনিয়োগকারীগণ তাদের সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করতে পারেনি। বিশেষ গোষ্ঠী বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষ লাভবান হয়েছেন। সংশোধিত বা আইনের সঠিক প্রয়োগের ফলে কোম্পানিতে সুশাসন অনুশীলন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কমিশন পর্যাপ্ত পরিশ্রম ও কাজ করে এই আইন সংশোধন করেছে। যদি কোনো কোম্পানি এই বিধিমালাটি বোঝানোর জন্য মুখোমুখি আলোচনা করতে চান, তাহলে সচেতনতামূলক কর্মশালার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া, কমিশনে আলোচনার মাধ্যমেও আপনারা বধিমিালা সম্পর্কিত বিষয়গুলো জানতে পারবেন। এ ব্যাপারে বিএসইসি সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। এই বিধিমালাটি খুব ব্যাপক পরিবর্তিত হয়নি। কোনো কোম্পানি যাতে কারসাজিমূলক আচরণের মাধ্যমে পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীগণের ক্ষতি করতে না পারে, তাই এই বিধিমালাটি সংশোধিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, নতুন বিধিমালাটি গেজেট হওয়ার পর বেশকিছু জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আপনাদের যদি কোনো কনফিউশন বা বিভ্রান্তি থাকে, তা দূর করা হবে। এরপরও যদি এই বিধিমালাটি বুঝতে সমস্যা হয়, তাহলে বিএসইসি আপনাদের সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর বিধান মোতাবেক প্রতরণামূলক কর্মকাণ্ড যাতে সংঘটিত না হয়, এই বিধিমালার মাধ্যমে সে ব্যাপারে নজরদারি করা হবে।
কর্মশালা সঞ্চালনা করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান মো. রবিউল ইসলাম। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
তিনি মূল প্রবন্ধে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য, সুবিধাভোগী ও সুবিধাভোগী ব্যবসার সংজ্ঞা, মূল্য সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহের পদ্ধতি, সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ, সুবিধাভোগী ব্যবসায়ের শাস্তি প্রভৃতি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন।
Leave a Reply