দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সীমান্তবর্তী বারমারি-লক্ষ্মীপুর গ্রামে বিজিবির ওপর হামলার তিনদিন পরে অবশেষে মামলা করেছে বিজিবি। শনিবার রাতে বারমারি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আইনুল হক বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুর্গাপুর থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল আলম।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাতে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের বিনিময়ে মাদক আসার খবর পায় বিজিবি। এরপর বারমারী বিওপি থেকে হাবিলদার মিনহাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টহল দল বিশেষ অভিযানে গেলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংঘবদ্ধ একটি চোরাকারবারি দল সুপারি মাথায় করে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করতে যাচ্ছিল এতে বিজিবি বাধা দিলে চোরাকারবারিরা দা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত আক্রমণ করে তাদের বিজিবি‘র ওপর। এতে উভয় পক্ষের আক্রমনে কমান্ডার হাবিলদার মিনহাজ উদ্দিন চোরাকারবারিদের দায়ের কোপে গুরুতর আহত হলে মিনহাজ উদ্দিন আত্মরক্ষার্থে দুই রাউন্ড গুলি করে। এতে চোরাকারবারি আমিনুল ইসলাম ও জায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হলে এতে আমিনুল ইসলাম নিহত হন। এ সময় আহত মো. জায়েদুল ইসলাম ও হাবিলদার মো. মিনহাজ উদ্দিন কে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয় এবং পরবর্তিতে উন্নত চিকিৎসার দরুন ময়মনসিংহে প্রেরণ করা হয়। নিহত আমিনুল ইসলাম লক্ষিপুর গ্রামের আবদুল বারেকের ছেলে।
নিহত আমিনুলের মা কুলসুমা খাতুন বলেন, আমার ছেলে আমিনুল চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত না তবে সে একজন দিনমজুর। ব্যসায়িদের সুপারির বস্তা মাথায় নিয়ে সীমান্তে যাচ্ছিল। বিজিবি সদস্যরা কোনো কিছু না জেনেই প্রথমে মারধর ও পরে খুব কাছ থেকেই তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমি বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে দোষিদের শাস্তির আকুল আবেদন জানাই।
এনিয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল আলম রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, হামলার ঘটনায় দুই জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত প্রায় ৩০ জনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও হত্যার উদ্দ্যেশ্যে আঘাত এ বিষয়ে পৃথক দুটি মামলা করেছে বিজিবি। মামলার দু‘জন আসামী হলেন লক্ষিপুর গ্রামের জায়েদুল ইসলাম ও আইনুল মিয়া।
Leave a Reply