দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : পুলিশি বাধায় দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপি‘র মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান কে কেন্দ্র করে, পুলিশের সাথে বিএনপি‘র নেতাকর্মীদের কথা কাটাকাটি, ইটপালকেল ছোড়া ও সংঘর্যের ঘটনায় ফের বিএনপি‘র ৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার মধ্যরাতে স্ব-স্ব বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, আব্দুস সালাম, হাজী মো. ঈমাম হোসেন, স্বপন মিয়া, আব্দুল বারেক, সোহাগ খন্দকার, আমিনুল ইসলাম।
জানা গেছে, মহান স্বাধীনতা দিবসে উপজেলা বিএনপি‘র নেতাকর্মীরা ব্যানারসহ মিছিল করে শহিদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়ার সময় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং বিএনপির সাত নেতাকর্মীকে আটক করে।
এ নিয়ে দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল আলম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌরশহরের কাচারি মোড় এলাকা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যানার নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে ফুল দিতে যেতে চাইলে, ব্যানার নিয়ে যেতে বাঁধা দেয় পুলিশ, পরে ছাত্রদল-যুবদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাগবিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়ে। অল্পক্ষণের মধ্যে পুলিশ আমাদের ওপর চড়াও হয়ে ধাওয়া শুরু করে এবং আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মী শিশির সহ গুরুতর আহত হয় প্রায় ৩০ জন। পরবর্তিতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইমাম হোসেন আবু চাঁন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আতাউর রহমান ফরিদ, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবু সিদ্দিক ও গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য মইনুল হাসান, আরমান হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও আরিফুল ইসলাম কে আটক করে।
এছাড়া রোববার মধ্যরাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আব্দুস সালাম, হাজী মো. ঈমাম হোসেন, স্বপন মিয়া, আব্দুল বারেক, সোহাগ খন্দকার, আমিনুল ইসলাম কে আটক করে। এ নিয়ে মোট ১৩ জনকে বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বর্তমানে আমাদের সকল নেতাকর্মীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে আটককৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, বিএনপিকে শহীদ মিনারে যেতে পুলিশ বাধা দেয়নি। বরং বিএনপির কর্মীরা ওই এলাকায় জড়ো হয়ে সহিংস পরিবেশ সৃষ্টি করে। এতে বাধা দিলে পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আর পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা বিস্ফোরক ও নাশকতা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। গ্রেফতারি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply