দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : ‘‘অবারিত পাঠে খোল সকল দুয়ার’’ এই প্রতিপাদ্যে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র থেকে তালিকাভুক্ত পথ পাঠাগার এর বার্ষিক পাঠসভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার সীমান্তবর্তী কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেরাতলী গ্রামে বৃটিশ বিরোধী ও টংঙ্ক আন্দোলনের মহিয়সী নারী কুমুদিনী হাজং এ পাঠসভার উদ্বোধন করেন।

কুমুদিনী হাজং এর উঠোন চত্ত্বরে পথ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি নাজমুল হুদা সারোয়ারের সভাপতিত্বে ও পাঠাগারের সহ:সভাপতি জিয়াউল হক শুভ‘র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান। এ সময় আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক, প্রেসক্লাব সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার নাসির উদ্দিন, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি কবি সজীম শাইন, কবি আবুল বাশার, মতিন্দ্র মানখিন, লোকান্ত শাওন, দুনিয়া মামুন, বিদ্যুৎ সরকার, রোকন উদ্দিন প্রমুখ।

আলোচনা শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১০ জনকে পথ পাঠাগারের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়। সমাজসেবায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার, শিক্ষায় দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার ও সুসং আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সাবেক প্রধান শিক্ষক এ কে এম ইয়াহিয়া, গবেষনায় বিরিশিরি পিটিআই কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনিন্দ্র নাথ মারাক, সাংবাদিকতায় দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সহ:সভাপতি মোহন মিয়া, কবিতায় মামুন খান ও অগ্রনী ব্যাংক এর সিনিয়র অফিসার কবি সাজ্জাদ খান, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে চন্ডিগড় মানবকল্যানকামী অনাথালয়, সমাজসেবায় সেলিমা আজিজ ও মানবতার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত রিক্সাচালক তারা মিয়া।

বক্তারা বলেন, সমাজে সকল ভালো কাজে সাহিত্য সংগঠন ‘‘পথ পাঠাগার’’ অংশগ্রহন করে থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ১০ গুনীজন কে সম্মাননা প্রদান করা হয়। পথ পাঠাগার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মাঝে পাঠের অভ্যাগ গড়ে তোলার লক্ষে প্রায় ১৫টি শাখা করেছে। এছাড়া নতুন প্রজন্মের কাছে দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ বিনির্মানে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরার জন্য কাজ করবে বলে জানান পথ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি নাজমুল হুদা সারোয়ার।