আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সুইডেনের প্রতি হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে কয়েকজন ইসলামি চরমপন্থীকে সেদেশ থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো দেশটির কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ওই ৬ জঙ্গি নিজ দেশে ফিরে গেলে তাদের হত্যা করা হতে পারে এই আশঙ্কায় তাদেরকে সুইডেন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে দেশটির মাইগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। গত বসন্তে ওই ইসলামি চরমপন্থীদেরকে আটক করে সুইডেনের নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে সুইডেনজুড়ে ইসলামি চরমপন্থা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিলো। কিন্তু নিজ দেশে ফেরত পাঠালে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে তাদেরকে সুইডেনেই রাখা হচ্ছে।
আটক ৬ জঙ্গির একজন ইরাকি বংশোদ্ভুত আবু রা’দ (৫৩) যিনি সালাফি ইসলামের পাঁড় অনুসারি। তার ছেলেও আছে তার সঙ্গে। গত মে মাসে আবু রা’দ ও তার ছেলে সহ ৬ জনকে আটক করে সুইডেনের নিরাপত্তা বাহিনী স্যাপো। আটক অন্য তিনজন ইরাক, মিশর এবং রাশিয়ার নাগরিক। বাকী একজন রাষ্ট্রহীন। অক্টোবর মাসে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে তাদেরকে সুইডেন থেকে বহিষ্কার করা হবে। কিন্তু দেশটির মাইগ্রেশন ট্রাইবুনাল তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয়। ট্রাইবুনাল বলছে, তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠালে তাদেরকে মেরে ফেলা হতে পারে বা তাদের ফাঁসি হতে পারে। এতে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে। আর সুইডেনের মতো একটি মানবাধিকারমূলক ও কল্যাণরাষ্ট্র তাদেরকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে না।
তবে ওই চরমপন্থীদের নিজ দেশের সরকার যদি তাদের সঙ্গে অবিচার না করার নিশ্চয়তা দেয় তাহলে তাদেরকে ফেরত পাঠানো হবে। ওই ৬ সন্দেহভাজন জঙ্গিকে বর্তমানে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছে সুইডেনের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া তাদেরকে সপ্তাহে কয়েকবার পুলিশের কাছে গিয়ে হাজিরা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আর নয়তো তাদেরকে ফের আটক করা হবে। সুইডেন সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের তাদের দেশে থাকার অনুমতি দিয়ে থাকে। কিন্তু এই সুযোগে অনেক অপরাধীও সেখানে আস্তান গাড়ছে। আর বিষয়টি নিয়ে বেশ বিপাকে পড়ে গেছে দেশটি।