হাবিব সরোয়ার আজাদ, স্টাফ রিপোর্টার যুগান্তর : দেশব্যাপী ৮৮ প্রলয়ংকারি বন্যায় উজানরে পাহাড়ি ঢলে ধেয়ে আসা পানির দাপটে নদীভাঙ্গন ও বাস্তুচুত্য হওয়ার আগ্রাসন থেকে বাদ পড়েনি সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজলোর বড়দল উওর ইউনিয়নের মাহারাম সীমান্তনদী তীরর্বতী জনবসতি ও এর বাসিন্দারা।
৩ হাজার ৩৮৪ হেক্টর আয়তনের বড়দল উওর ইউনিয়নের পূবে বাদাঘাট উওর ইউনিয়ন, পশ্চিমে বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন, উত্তরে ভারতরে মেঘালয় সীমান্ত, দক্ষিণে বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়ন ও দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের কিয়দাংশ। ৮৮ আগষ্ট -সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে সংঘটতিত এই বন্যায় দেশের প্রায় ৬০% এলাকা ডুবে যায় এবং স্থানভদেে এই বন্যাটি ১৫ থকেে ২০ দিন পযন্ত স্থায়ী ছিলো। এটি ছিলো এদেশেরে ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক ও ক্ষয়-ক্ষতক্ষতির প্রাকৃতিক দুযোগ।
৮৮ ওই এক রাতের ভয়াল নদী ভাঙ্গনে প্রায় ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘে্র মাহারাম নদীর তীরর্বতী মাহারাম গ্রামের আড়াই শতাধিক পরিবার বাস্তুচুত্য হয়ে আশ্রয় নেন পাশের মেঘালয় পাহাড়ের কুলঘেষা সবজু বৃক্ষরাজীর বারেকটিলায়।
এরপর সেখানেই গড়ে তোলেন ছোট একটি পাড়া নাম ‘মাহারাম,। পরর্বতীতে এসব বাস্তুচুত্য পরিবার গুলোর মধ্যে কেউ কেউ বড়গোপ, মাহারাম নদীর উওর-দক্ষিণ তীরে তীরে শান্তিপুর, মাণিগাঁও, বাদাঘাটে স্থায়ী বসতি গড়ে তোলেন।
নদী ভাঙ্গনে ও আগ্রাসনে পড়ে তখনকার সময়ে শুধু বাস্তুচুত্যই হননি নদীর ও নদীর তীরর্বতী আশে পাশরে মানুষজন।
প্রায় ৯ কলিোমটিার দৈর্ঘের মাহারাম নদীর বালু আগ্রাসনের কবলে পড়ে শান্তিপুর, করবুলা, সড়ন্ডা, পছাশইল সহ বশে কয়কেটি ছোট বড় বোরো ফসলী হাওর পরিণত হয় মরুময় খনিজ বালু চরে। সময় গড়িয়ে এসব মরুময় হাওর গুলো আবার বালু সড়ে ফসলী জমিতে রুপান্তরিত হলেও বেশ কয়কেটি হাওর ও খনিজ বালু পড়ে স্থায়ী ঠিকানা ঘেরে বসে আছে। মাহারাম নদীর নাব্যতা সংকটরে মুখে এ নদী ঘেষা, ভাঙ্গারখাল নদী , কেন্দুয়া, জিনার খাল, এক সময়,লঞ্চ, জাহাজ, ষ্টিমার ভীড়ত সে জানখালী নদীর নৌপথ ভরাট হয়ে যায়।
শান্তিপুর,পছাশইল, বেকিরবিল, জিনারখাল,মাহারাম নদী শুস্ক কিংবা ভরা র্বষা উভয় মৌসুমে বছরের অধিকাংশ সময় পানি শুন্য থাকায় বিভিন্ন প্রজাতির মিঠা পানির মাছের আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে গেছে। অন্যদিকে মেঘালয় পাহাড় থেকে প্রবাহমান জাদুকাটার শাখা নদী মাহারাম নদীর উৎস মুখ দিয়ে ধেয়ে আসা উজানের পাহাড়ি ঢল এক সময় উপজলোর মাটিয়াইন সহ ছোট বড় ১৮ বোরো ফসলী হাওরের জন্য ছিল হুমকি সরুপ।
বালু আগ্রসনে মাহারাম নদীর উৎসমুখে প্রাকৃতিক ভাবেই তৈরী হয়েছে অস্থায়ী বাঁধ। এ বাঁধ ভেদ করে হাওরে , নদীতে পানি প্রবেশ না করায় লোকজন ধরেই নিয়েছেন অভিশপ্ত মাহারাম নদী এখন র্আশীবাদ।
কিন্তু এ নদী ভরাটরে বিরুপ প্রভাব দিনে দিনে বিষফোঁড়া হয়ে দাড়িয়েছে ।
নদী, নদীর আশে পাশের এলাকায় দেখা দিয়েছে কিছুটা পরিবেশ বিপযয়। একদিকে মাহারাম নদীতে যেমন নেই নাব্যতা, তেমনি নদীতে রুই, কাতল, চিতল, বোয়াল লাছ, পাবদা, খই কালি বাউশ , গজার , আইর, বাঘাইর,, চিংরি , সরপুটি সহ মিঠা পানির বিভিন্ন প্রজাতির মৎস ভান্ডার শুন্য হয়ে পড়েছে। নদী তীরর্বতী আশে পাশের এলাকায় গড়ে তোলা যাচ্ছেনা সবুজ বনজ, ফলজ, ঔষধি সহ গাছ গাছালীর বাগান।
স্থানীয়দের অভিমত নদীর বুকে থাকা লাখ লাখ ঘনফুট খনিজ বালু মহাল সৃষ্টির মাধ্যমে বালুর মুল্য ভ্যাট আয়কর সহ সরকার পেতে পারেন কয়েক হাজার কোটি টাকা। এর ফলে নিম্ন আয়ের স্থানীয় হাজারো পরিবারের লোকজন পাবেন র্কমসংস্থান, খনন ছাড়াই সড়বে নদীর বুক, হাওর হতে সড়বে খনিজ বালু ।
এজন্য পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়,নদী রক্ষা কমিশন, নদী গবেষণা ইনস্টটউিটি (আরআরআই) ইন্সটটউিটিঅব ওয়াটার মডেলিং সেন্টার’ ফর এনভায়রনমেন্ট এন্ড জিওগ্রাফি ইনফরমমেণ সার্ভিসেস, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো,পানি উন্নয়ন র্বোড, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনকে যৌথ সমীক্ষার মাধ্যমে মাটিয়াইন সহ ছোট বড় ১৮টি বোরো ফসলী হাওরের ফসল রক্ষায় আগাম বন্যা, উজানের পাহাড়ি ঢলের কবল হতে মাহারাম নদীর উৎস মুখে স্থায়ীভাবে টেকসই বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে সূরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।