নেত্রকোনা প্রতিনিধি : শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ৩৩টি গ্রন্থের রচয়িতা কথাসাহিত্যিক হাবিব আল আজাদকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সাহিত্য সংস্কৃতিকর্মী, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ তাঁর ভক্ত, ছাত্র, শুভাকাঙখী এবং এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা আব্দুল হামিদ কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের মাঠে প্রয়াত এ কথাসাহিত্যিকের জানাজা হয়।
এর আগে গত বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বার্ধক্যজনিত কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের খরমহরী গ্রামের নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, প্রাক্তন শিক্ষক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হাবিব আল আজাদ (৭৪)।
জানাজাপূর্ব আলোচনায় তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বক্তব্য দেন, স্থানীয় পৌর মেয়র আসাদুল হক ভূইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন ভূইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বাবলু, প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, হাবিব আল আজাদ কাছিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ সময়। শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়ে পুরোপুরিভাবে সাহিত্য সাধনায় নিয়োজিত হন। চর্চা সাহিত্য আড্ডার উপদেষ্টাসহ তিনি কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি নাটক, গল্প, উপন্যাস ও সংগীত বিষয়ক ৩৩টি বই রচনা করেছেন। এসব গ্রন্থের মধ্যে উপন্যাস-‘গহর মাঝির দিঘি’, ‘অমিয় প্রেম ধারা’, নাটক- ‘বাংলা আমার দেশ’, ‘আমি বিজয় দেখেছি’, গল্পগ্রন্থ- ‘ট্রেন থেকে দেখা’, ‘প্রত্যাশার অপমৃত্যু’, ‘বিধ্বস্ত হৃদয়ের কান্না’ উল্লেখযোগ্য। কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ হাবিব আল আজাদ ২০১৭ সালে ‘চর্চা সাহিত্য আড্ডা পুরস্কার’ লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাবিব আল আজাদকে জানাজা শেষে তার গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৪ ছেলে ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ওইদিন রাতেই মরহুমের বাড়িতে ছুটে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলামসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী স্বজনেরা।