কামরুজ্জামান জসিম, মোংলা থেকে: ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে এগুচ্ছে মোংলা বন্দরে করোনা সংক্রমণের হার। চলমান কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যেও হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল মঙ্গলবার করোনা উপসর্গ নিয়ে ৫৯ জন নমুনা পরীক্ষা করালে তাদের মধ্যে ৩৩ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। এর আগে গত শনিবার ৪২ জনের মধ্যে ৩১ জন ও শুক্রবার ২২ জনের মধ্যে ১৬ জন সনাক্ত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুইজন ও আজ বুধবার একজন মোংলায় করেনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। এর আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরো দুইজন। করোনা উপসর্গ নিয়ে বুধবার ভোরে কানাইনগর গ্রামে মারা যাওয়া অশোক মন্ডলকে (৫০) সৎকারে কেউ এগিয়ে না আাসায় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হক নিজ উদ্যোগে শ্মশানে নিয়ে সৎকারের ব্যবস্থা করেছেন।
করোনা আক্রান্ত ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুসহ সংক্রমণ বাড়লেও কেন যেন সচেতনতা বাড়ছে না সাধারণ মানুষের মাঝে।
সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়াতে থাকায় এবং চলমান কঠোর বিধি নিষেধ বাস্তবায়নের জন্য মঙ্গলবার বিকেলে মোংলায় জরুরী বৈঠক করেছেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ও সিভিল সার্জন ডাঃ কে, এম হুমায়ুন কবির।
বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বলেন, এখান থেকে যেটি উঠে এসেছে সেটি হলো এখানে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মানা এবং মাস্ক ব্যবহারে অনিহা রয়েছে। যার কারণে আগের তুলনায় সংক্রমণের হার বেড়েছে। এখানে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট এর অস্তিত্বের কোন তথ্য এই মুহুর্তে আমাদের কাছে নাই। তবে করোনা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছে, যেহেতু এখানে মোংলা বন্দর রয়েছে, বিদেশীদের সমাগম আছে, তারা স্থানীয় হাট-বাজারে ঘুরছে, কেনাকাটা করছে সেকারণে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। চলমান পরিস্থিতে স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে চলমান কঠোর বিধি নিষেধের চতুর্থ দিনেও পৌর শহরে লোকজন ও যানবাহনের চলাচল ছিলো প্রথম দিনের তুলনায় বেশি। কোথাও কোথাও দোকানপাট খোলা রাখতে দেখা গেছে। পৌর শহরের প্রধান কাঁচা, মুদি ও মাছ-মাংসের দোকানের অধিকাংশ লোকজনকে দেখা গেছে মাস্ক বিহীন, গাদাগাদি চলাচল করতে।