নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বামী-স্ত্রী জোড়া খুনের প্রধান আসামিসহ পাঁচ আসামিই অধরা পাঁচ আসামি অধরাই রয়ে গেছে। নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী আলীপুর গ্রামের তাহের আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৩২), তার স্ত্রী মূর্শেদা খাতুন (২৭)। সোমবার সন্ধায় নিহতের পিতা, তাহের আলী বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ হত্যা মামলায় উপজেলার বেহেলী আলীপুর গ্রামের প্রধান আসামি রাসেলের স্ত্রী বিলমা বেগম (২২) সোমবার সকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার বাদ আসর গ্রামের স্কুলমাঠে হাজারো শোকাহত মুসুল্লীগণের অংশ গ্রহনে নামাজে জানাজা শেষে গ্রামের পঞ্চায়েতি কবরস্থানে নিহত আলমগীর- মুর্শেদা দম্প্রতিকে পাশাপাশী দাফন করা হয়।
ওইদিন সন্ধায় জামালগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়ে বললেন,এ জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িত সোমবার সন্ধা অবধি প্রধান আসামি সহ অন্য পাঁচ আসামির কাউকেই গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।,
এরপুর্বে রবিবার রাত পৌনে ৮টা হতে সাড়ে ৮টার এ সময়ের মধ্যে উপজেলার বেহেলী আলীপুরে ঘটে যাওয়া জোড়া খুনের ঘটনায় পুরো জেলা জুড়ে শোকের পাশাপাশী প্রতিবাদের ঝড় বইছে। নিহত দম্পতির পারিবারীক সুত্র জানায়, উপজেলার বেহেলী আলীপুর গ্রামে আলমগীর ও চাচাত ভাই রাসেল এ দুই পরিবারের শিশুদের মধ্যে রবিবার ইফতারের পুর্বে ঝাগড়ার জেরে ইফতার পরবর্তী সময়ে দুই পরিবারের মহিলাদের মধ্যে ঝাগড়াটি গড়ায়।
এদিকে রাত পৌনে ৮টা হতে সাড়ে ৮টার দিকে আলমগীর স্ত্রীকে সাথে নিয়ে নিজ বসতঘরে রাতের খাবার খেতে বসেন।
অপরদিকে শিশু ও মহিলাদের দু’দফা ঝাগড়াঝাটির জের ধরে সহযোগিদের নিয়ে চাচাত ভাই রাসেল তার স্ত্রীর উস্কানীতে ক্ষিপ্ত হয়ে আকস্মিক আলমগীরের ঘরের ভেতর প্রবেশ করে রাতের খাবার খাওয়া অবস্থায় আলমগীর ও তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগমকে বিনা প্রতিরোধে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করেন। মা-বাবার রক্তার্থ নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে আলমগীরের চার শিশু সন্তানের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাদেরকে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের নিয়ে যান। পরে সেখানকার কতর্ব্যরত চিকিৎসক ছুরিকাঘাতে অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণের মুখে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পথেই এ দম্পতি মৃত্যু বরণ করেছেন বলে জানান। সোমবার সকালে থানা পুলিশ দম্প্রতির মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।।