দিগন্ত ডেক্স : অবশেষে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। আজ শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে তিনি কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন। এ সময় কারাফটকে পরিবারের সদস্যসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক কাজলের ছেলে মনোরম পলক জানান, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তার বাবাকে নিয়ে বাসায় পৌঁছান। এ সময় কারাফটকে পরিবারের সদস্যসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। ওই সময়ে ছেলে পলকসহ অন্য স্বজনদের জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন সাংবাদিক কাজল। আনন্দ অশ্রু ঝরতে থাকে বাবা ও ছেলের চোখে। এমন চিত্র দেখে উপস্থিত লোকজনের চোখেও অশ্রু টলমল করে, কেউ কেউ কেঁদে ফেলেন। সাংবাদিক কাজলের ছেলে মনোরম পলক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। পৌনে ১২টার দিকে বাবাকে নিয়ে বাসায় পৌঁছান বলে জানান।
গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই মামলায় কাজলকে জামিন দিলে তার কারামুক্তি পথ খোলে। এর আগে রাজধানীর শেরে-বাংলানগর থানায় দায়ের করা আরেক মামলায় গত ২৪ নভেম্বর কাজলকে জামিন দেয় হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, নরসিংদী যুব মহিলা লীগের নেত্রী (পরে বহিষ্কৃত) শামীমা নূর পাপিয়ার হোটেল ওয়েস্টিনকেন্দ্রিক কারবারে জড়িতদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে গত ৯ মার্চ শেরেবাংলা নগর থানায় মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। এ মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকেও আসামি করা হয়।
এছাড়া গত ১০ ও ১১ মার্চ হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর চর থানায় সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা হয়।
প্রায় দুই মাস ‘নিখোঁজ’ থাকার পর গত ২ মে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে কাজলকে গ্রেপ্তার করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। গ্রেপ্তারের পর থেকে প্রায় আট মাস কারাবন্দি কাজলের মোট ১৩বার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।