সিলেট ব্যুরো : সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে জমির ধান গরু খেয়ে ফেলায় সংঘবদ্ধ কৃষক পরিবারের সদস্যদের বেধরক লাঠি পেটায় হানিফ শিকদার (৩৪) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন নিহত কৃষকদের অপর সহোদর ছোট ভাই কবির শিকদার। আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে বৃস্পতিবার দিবাগত রাত ১টায় দিকে ওই কৃষক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। নিহত হানিফ উপজেলার বাদাঘাট উওর ইউনিযনের ইছবপুর গ্রামের মৃত নেকবর শিকদারের ছেলে।
শুক্রবার দুপুরে নিহতের পরিবার ও থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার ইছবপুর গ্রামের সামনে থাকা “জলা’’ নামক হাওরে থাকা গ্রামের মৃত লায়েছ মিয়া শিকদারের ছেলে কৃষক হাবিবুর রহমান শিকদারের বোরো ফসলী জমির কয়েক গুছি ধান বৃহস্পতিবার বিকেলে একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত নেকবর শিকাদারের ছেলে প্রতিবেশী কৃষক হানিফ শিকদারের গরু খেয়ে ফেলে।
এ নিয়ে সন্ধায় দুই কৃষক পরিবারের মধ্যে বাক বিতন্ডতা শুরুর পর হাবিবুর শিকদারের পরিবারের ৭ হতে ৮ সদস্য সংঘবদ্ধ হয়ে হানিফ শিকদারকে বেধরক ভাবে লাঠি পেটা শুরু করেন। বেধরক লাঠি পেটা ও লাঠির আঘাতে হানিফের মাথা,তলপেট, পিঠ রক্তার্থ জখম হলে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে মাঠিতে লুটিয়ে পড়েন। এদিকে মারধওে বাঁধা দিতে এগিয়ে আসলে হানিফের সহোদর ছোট ভাই কবির শিকদারকের বেধরক ভাবে লাঠি পেটা করে আহত করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। আহত কবিরকে বৃহস্পতিবার রাতেই তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ৪নংওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইছবপুর গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হত শিকদার বলেন, গরু ধানখেয়ে ফেলায় মুলত এ ঘটনার সুত্রপাত। নিহত কৃষক হানিফ শিকদার অভিযুক্ত কৃষক হাবিবুর রহমান শিকদারের নিকটাত্বীয় হিসাবে চাচাত ভাই হন বলে নিশ্চিত করেন ওই ইউপি সদস্য।
শুক্রবার দুপুরে তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান বলেন, হানিফ হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি।