দিগন্ত ডেক্স : পঞ্চগড়ে সিজারের পর শিশুর পা ভাঙ্গা দেখা দিয়েছে। গত বুধবার (২ জুন) রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড়ের রওশন ক্লিনিক এন্ড জেনারেল হাসপাতালে। বর্তমানে শিশুটি ওই ক্লিনিকে মায়ের সাথে ক্লিনিকের একটি কক্ষে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ক্লিনিক মালিকের কাছে শিশুটির পরিবারের দাবী ভাঙ্গা পায়ের সঠিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটি তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া।
সরেজমিনে গিয়ে ওই ক্লিনিকে শিশুটির বাবা বিপুল (২৫) জানায় গত বুধবার (২ জুন) সন্ধ্যায় তার স্ত্রীকে ক্লিনিকে ভর্তি করেন সিজারের জন্য । ওই রাতেই তার স্ত্রী মেরিনা আকতারের সিজার হয়। সিজারের পরদিন শিশুটি অনবরত কান্না করছিল । এভাবেই কেটে যায় ২ই দিন। পরে গত শুক্রবার (৪ জুন) সকালে ডা. খালেদ তৌহিদ পুলক ক্লিনিকে এসে শিশুর পায়ে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দেওয়ার পর শিশুর কান্না থেমে যায়।
ক্লিনিকের পরিচালক আকতার হোসেন জানায় বুধবার রাতে ডা. খালেদ তৌহিদ পুলক ও পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট (এনেসথেসিয়া) ডা. মনসুর আলম যৌথভাবে সঠিক নিয়মে ওই নারীর অপারেশন (সিজার) করেছেন। শিশুটির জন্মের পরদিন আমরা নিশ্চিত হয়েছি শিশুটির একটি পায়ে ক্ষত হয়েছে । ধারনা করা হচ্ছে শিশুটির কোমরের নিচের অংশে ভেঙ্গে যেতে পারে। আসলে ওই নারীর তৃতীয়বারের মত সিজার করেছেন। তার চিকিৎসার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে । আগামি বৃহস্পতিবার (১০ জুন) শিশুটিকে অর্থপেডিক্স চিকিৎসকের চিকিৎসা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ডা. খালেদ তৌহিদ পুলক মুঠোফোনে জানায় এই ধরনের শিশুর পা ভাঙ্গা নিয়ে জন্ম নেওয়া একটি দূর্লভ ঘটনা। এছাড়াও সিজারের সময় দেখা গেছে শিশুটির অবস্থান উল্টো থাকায় পা ভেঙ্গে যেতে পারে। তবে আশংকার কিছু নেই । যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।