দিগন্ত ডেক্স : মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া চৌরাস্তায় চোর সন্দেহে জুলহাস হাওলাদার (৩৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ৯ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তা ও শ্রমিকের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা ওই যুবককে পেটান বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের।
নিহত জুলহাস উপজেলার কুমারভোগ পদ্মা সেতু পুনর্বাসন কেন্দ্রের হাসান হাওলাদারের ছেলে। তিনি একজন অটোরিকশাচালক। আটককৃতরা হচ্ছেন- পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা কর্মী ও শ্রমিক সেলিম, রাব্বি, তপু, আল-আমিন, আরিফ, আব্দুল মান্নান, ইস্রাফিল, রুবেল ও সুশান্ত।
নিহত যুবকের বোন শাহানা বলেন, আমার ভাই পদ্মা সেতু প্রকল্পের ভেতরে কীভাবে গেল, তা জানি না। আমরা খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে ফেলে রাখা হয়েছে। এর আগে তাকে রড দিয়ে পেটানো হয়েছে। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা কর্মীরা আমাদের বলেন, আমার ভাই নাকি চুরি করেছে। পরে আমরা ভাইকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। এ সময় সেখানকার চিকিৎসক আমার ভাই মারা গেছে বলে জানান। তিনি বলেন, আমার ভাই চোর নয়। অটোরিকশা চালায়। আর চুরি করলেই কি পিটিয়ে হত্যা করতে হবে?
লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিজ বাড়ির অদূরে মাওয়া চৌরাস্তাস্থ পদ্মা সেতু প্রকল্পের ভেতর গেলে যুবক জুলহাসকে চোর সন্দেহে আটক করে নিরাপত্তা কর্মী ও শ্রমিকরা। এ সময় ১০-১২ জন মিলে ওই যুবককে লোহার রড দ্বারা এলোপাতাড়ি পেটায়। খবর পেয়ে স্বজনরা যুবককে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।