দিগন্ত ডেক্স : বাবা প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব, মা শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা আর নিজে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট- এ পরিচয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন অভিজিৎ ঘোষ (২২) নামে এক যুবক। ওই তরুণীকে ‘ধর্ষণ’ও করেন তিনি। এ অভিযোগে গতকাল শনিবার রাতে চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গিবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ওই ছাত্রীর সঙ্গে অভিজিতের পরিচয় হয় ফেসবুকে। পরিচয়ের পর থেকে মেসেঞ্জারে মেসেজ আদান প্রদানের মাধ্যমে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন অভিজিৎ।’
পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অভিজিৎ নিজেকে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে পুলিশ ক্যাডারে চান্স পেয়েছেন বলে ছাত্রীকে জানান। তাকে বাংলাদেশের নামি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইনের প্রভাষক পদে যোগদান করার জন্য ই-মেইলে বার্তা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান। সর্বশেষ, ১২তম ব্যাচে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে ওই তরুণীকে ভূয়া তথ্য দেন।’
এ ছাড়া ভুক্তভোগী তরুণী জানান, প্রতারক অভিজিত বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫০ টাকা মূল্যমানের ২ টি নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে জাল স্বাক্ষর করে ও ভুয়া বিবাহের হলফনামা তৈরি করে। আর এভাবেই পর্যায়ক্রমে একাধিকবার নানা প্রলোভনে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে প্রতারণার বিষয়টি তার বাবা মা জানলে তাকে বাসায় আসতে বলায় সে নানাভাবে প্রতারণার চেষ্টা করে। উল্টো মামলার হুমকি দেয়। এই কাজে অভিজিতের বন্ধু সত্যজিতও সহযোগিতায় ছিলেন।
এই বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, অভিজিত নামে পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেটি এই তরুণীকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে সম্পর্ক তৈরি করে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি থানায় এসে মামলা করলে ফিরিঙ্গিবাজারের একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। আসামি অভিজিত সেখানে তার মাসির বাসায় থাকতো। এই ঘটনায় আরেক আসামি এখনো পলাতক আছে।