দিগন্ত ডেক্স : দেশে মাদকাসক্তি পর্যায়ক্রমে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সহ এসডিজির লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মাদকের ছোবল থেকে তরুণ ও যুব সমাজকে রক্ষায় নানামুখী কার্যক্রমও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শনিবার (২৬ জুন) ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে আজ শুক্রবার (২৫ জুন) দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। দিবসটি পালন উপলক্ষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র ও স্মারক প্রকাশের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের সুস্পষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার গত অর্থবছরে ৯১টি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রকে অনুদান প্রদানের পাশাপাশি চলতি অর্থবছরে অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। সরকারি অর্থায়নে ৭টি বিভাগীয় শহরে ২০০ শয্যার মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
মাদকের চাহিদা হ্রাসের লক্ষ্যে মাদক নিরোধ শিক্ষা, মাদক বিরোধী জনসচেতনতার বিকাশ, সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ, সামাজিক আন্দোলন এবং মাদক বিরোধী বিভিন্ন প্রকার প্রচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মাদক সমস্যার সমাধানে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন, শিক্ষক, সকল ধর্মের নেতৃবৃন্দ, পিতা-মাতা, সুশীল সমাজ, অভিভাবকসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী এ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আমাদের সংবিধানের ১৮ (১) নম্বর অনুচ্ছেদে মদ্য ও অন্যান্য মাদক পানীয় এবং স্বাস্থ্যহানিকর ভেষজের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য রাষ্ট্রকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।-বাসস