দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিবাহ না করায় মো,সাইদুল ইসলাম (২৮) নামের এক যুবকের লিঙ্গ কর্তন করার অভিযোগ উঠেছে চন্দ্রকোনা মায়ানগর গ্রামের মোছাঃ হনুফা আক্তার (২৫) এর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চন্দ্রকোনা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আহত সাইদুল ইসলাম উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের নলুয়াপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজুল হকের ছেলে।

মামলার অভিযোগ ও সাইদুলের বড় ভাই মো. আ. আজিজ বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, নলুয়াপাড়া চায়না মোড় এলাকায় সাইদুল মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান করেন। ওই দোকানে প্রায়ই বিভিন্ন কাজে আসা যাওয়া করতেন ওই এলাকার মো. গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে হনুফা আক্তার। আসা যাওয়ার এক পর্যায়ে সাইদুলকে বিবাহ করার বাসনা জাগে হনুফার। সাইদুল কে বিবাহের প্রস্তাব দিলে সাইদুল তা নাকচ করে দেয়। এরই প্রেক্ষিতে হনুফা ক্ষিপ্ত সময়ে অসময়ে সাইদুলকে মোবাইল ফোনে বিয়ে করার জন্য হুমকি দেয় এবং তাকে স্বামী হিসেবে না পেয়ে তাকে অন্য কোন মেয়ের স্বামী হতে দিবে না বলে জানিয়ে দেয় হনুফা।

পরবর্তিতে মঙ্গলবার (২০এপ্রিল) সন্ধ্যায় নলুয়াপাড়া চায়না মোড় এলাকায় ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে সাইদুল ফেসবুক চালাচ্ছিলেন। এই সুযোগে চার পাচ জন এসে তার চোখ মুখ বেঁধে অটোতে করে চন্দ্রকোনা ব্রীজ সংলগ্ন নির্জন নদীর চরে নিয়ে যায়। সেখান নিয়ে সাইদুলের চোখের বাঁধন খুলে ফিল্মি ষ্টাইলে হনুফা অন্যদের সহায়তায় কোমর থেকে ছুড়ি দিয়ে সাইদুলের পুরুষাঙ্গের অনেকটাই কেটে ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনায় সাইদুল জ্ঞান হারালে
সাইদুলের মৃত্যু হয়েছে বলে সকলেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। কিছ্ক্ষন সাইদুলের জ্ঞান ফিরলে তাঁর মুঠোফোন থেকে বড় ভাই আ. আজিজ কে ফোন দিলে ওই এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।

এ ঘটনায় সাইদুলের বড় ভাই মো. আ. আজিজ বাদী হয়ে হনুফা আক্তার, গিয়াস উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, জাহাঙ্গীর সহ অজ্ঞাত আরো চার জনের নাম উল্লেখ করে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি শাহনুর-এ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ নিয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দুঃখ জনক, যতদ্রæত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।