দিগন্ত ডেক্স : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে প্রচারণায় গিয়ে আহত হয়েছেন। রেয়াপাড়ায় একটি মন্দিরে পুজা দিয়ে বের হওয়ার সময় ধাক্কা মেরে তাকে চার-পাঁচজন ফেলে দেন। এতে তিনি মাথায়, কপালে এবং পায়ে চোট পান। পায়ের চোট গুরুতর, যে কারণে তাকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যব্ক্ষেণে রাখছেন চিকিৎসকরার। বুধবার (১০ মার্চ) নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় একটি মন্দির থেকে বের হওয়ার সময় চার-পাঁচজন মানুষ তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
এতে মমতার মাথা, কপাল এবং পায়ে আঘাত লেগেছে। পরে প্রচারণা বন্ধ রেখে কলকাতায় ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে তাকে। পুরো ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার হলদিয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নন্দীগ্রামে ফিরে আসেন মমতা। সেখানে একাধিক মন্দির পরিদর্শন করছিলেন তিনি। সবশেষ রেয়াপাড়ায় একটি মন্দির থেকে বের হওয়ার সময় ভিড়ের মধ্য থেকে তাকে ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ এসেছে। খবরে বলা হয়, ভিড়ের মধ্যে আকস্মিক ধাক্কা দেওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে যান মমতা। এতে কপালে ও মাথায় আঘাত লাগে তার। এছাড়া পায়েও ব্যাথা পান তিনি। ঘটনাস্থলে তখন কোনো পুলিশ সদস্য ছিল না বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। পরে দেহরক্ষীরাই তুলে গাড়িতে নিয়ে যান মমতাকে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা তাদের খবরে জানিয়েছে, মমতার পায়ের পাতা, ডান হাত, গলা ও ডান পাশের কাঁধেও চোট রয়েছে। বর্তমানে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার সিটি স্ক্যান করা হবে এসএসকেএম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মণিময় ব্যানার্জি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। খবরে আরও বলা হয়, হাসপাতালে ভর্তির পর মমতার বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার প্রাথমিক প্রতিবেদনে তার বাম পায়ের গোড়ালি, পায়ের পাতার হাড়ে রক্ত জমাট বেঁধেছে বলে জানানো হয়েছে। আর ডান কাঁধ, ডান হাত ও গলায়ও চোট রয়েছে, তবে পায়ের চোট গুরুতর বলেও প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে।