দিগন্ত নিউজ ডেক্স : নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গুরুমশৈল গ্রামের সফল মৎস্য খামারী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জাকির হোসেন সরকারের খামারবাড়িতে ২০টি চাকে মৌমাছি বাসা বেঁধেছে। গত ৫ বছর ধরে শীতকালে এই বাড়ির চারপাশের কার্নিশে মৌমাছি চাক বাঁধে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, গুরুমশৈল বিলের মধ্যে জাকির হোসেন সরকারের মৎস্য প্রকল্প। এখানে চারদিকে তার ১১টি পুকুরের মাঝখানে দ্বিতল খামার বাড়ির কার্নিশে একে একে ২০টি চাকে মৌমাছি বাসা বেঁধেছে। সকাল-সন্ধ্যা হাজার হাজার মৌমাছির গুঞ্জরনে এ বাড়িসহ সারা এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে।
একটি বাড়িতে এত মৌচাক আর মৌমাছির মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিয়তই অজস্র মানুষ এখানে ভিড় করেন। জাকির হোসেন জানান, গত ৫ বছর ধরে প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসে মৌমাছি তার বাড়িতে এসে বাসা বাঁধে আর আষাঢ় মাসের দিকে চলে যায়। এ সব মৌচাক থেকে প্রতিবছর গড়ে আড়াই থেকে তিন মণ মধু আহরণ করা যায়। এ মধুর চাহিদাও ব্যাপক।
তিনি জানান, প্রতি কেজি মধু ৪০০-৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। প্রতিবছর এ মধু বিক্রি করে ৪৫-৫০ হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়। এ সব মৌমাছি সব সময় উড়ে বেড়ালেও কারো গায়ে হুল ফোটায় না, এমনকি খামারবাড়িতে থাকা মৎস্য প্রকল্পের শ্রমিকদের ওপরও এ সব মৌমাছি কখনও আক্রমণ করে না বলে জানান জাকির হোসেন।