সিলেট ব্যুরো : পুত্রবধুর সাথে অভিমান করে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বিষপানে হোসনেআরা বেগম (৪৭) নামে এক শাশুড়ি আত্বহত্যা করলেন।
শুক্রবার বিকেলে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শুক্রবার রাতে তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান বিষপানে ওই নারীর আত্বহননের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহত হোসনে আরা উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের লেদারববন্দ গ্রামের ইদু মিয়ার স্ত্রী।এ দম্পতির পাঁচ ছেলে, এক মেয়ের মধ্যে দুই ছেলে এবং মেয়ের বিয়ের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
নিহত নারীর পরিবার ও থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার লেদারবন্দ গ্রামের কৃষক ইদু মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নিজের দ্বিতীয় পুত্রের স্ত্রীর সাথে পারিবারীক কলহে ঝগড়াঝাঁটি হয়। এরপর পুত্রবধুর সাথে অভিমান করে বাড়িতে রাখা কিটনাশক পান করেন তিনি। পরিবারের লোকজন দুপুরে উপজেলার বাদাঘাট বাজারের একটি প্রাইভেট ক্লিনিক কাম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত
চিকিৎসক ওই নারীর পাকস্থলি হতে বিষ অপসারণে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে উঠলে তাকে নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরদিন শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে পুন:রায় দ্বিতীয় ছেলের স্ত্রীর সাথে শাশুড়ির কথাকাটাকাটি শুরু হলে হোসনে আরা সংজ্ঞাহীন হয়ে মাটিতে পড়ে যান।পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই নারীকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
শুক্রবার বিকেল চারটায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সদর মডেল থানা পুলিশ ওই নারীর মরদেহ পরিবারের লোকজনকে সমঝিয়ে দেন।
এ নিয়ে ক্রবার রাতে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, উপজেলার বাদাঘাটে প্রাইভেট ক্লিনিক বা ডায়গষ্টিক সেন্টারে ওই নারীকে যিনি বা যেসব চিকিৎসক চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন তাতে ধারণা করা যায় পাকস্থলি হতে পুরোপুরী বিষ বের করতে ব্যার্থ হওয়ায় বিষক্রিয়ায় উপযুক্ত চিকিৎসাসেবা না পেয়ে হয়ত ধীরে ধীরে ওই নারী মৃত্যুর মুখে পতিত হন।
বিষপানের আক্রান্ত রোগীকে সরকারি হাসপাতাল ব্যতিত অন্য কোন প্রাইভেট ক্লিনিক বা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে চিকিৎসা দেয়াটা বে আইনি বলে মন্তব্য করেন ডা. ইকবাল।