দিগন্ত ডেক্স : মাদারীপুরে পরিচয় গোপন রেখে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই সন্তানের পিতা আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) দিনভর হোটেলে রেখে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর সন্ধ্যায় অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে গেলে অভিযুক্ত আব্দুর রহমানকে আটক করে পুলিশে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তার ৩ সহযোগী আকবর মুন্সী, মুরাদ সরদার ও আলাউদ্দিন কবিরাজকে আটক করেছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, আড়াই বছর আগে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি গ্রামের আব্দুর রহমান নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে মোবাইল ফোনে দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে তিনি শহরের একটি আবাসিক হোটেলে ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে দিনভর একাধিকবার ধর্ষণ করে। সন্ধ্যার দিকে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে ভুল তথ্য দিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে অভিযুক্ত।
বিষয়টি সন্দেহ হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী। প্রথমে ভুল তথ্য দিয়ে ভর্তি করা হলেও পরে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মনিরুজ্জামান পাভেল।
ধর্ষণের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা জানান মাদারীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ধর্ষণের শিকার তরুণীর সাথে কথা বললে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। মূলত পরিচয় গোপন রেখে আবাসিক হোটেলে নিয়ে এই ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অভিযুক্ত আটক আছে।