দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : ‘‘মানুষ মানুষের জন্য-জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভ‚তি কি- মানুষ পেতে পারে না’’ যুগান্তর প্রত্রিকা সহ অন্যান্য কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর এই প্রবাদটিকে সত্যিকারে রুপ দিতে মঙ্গলবার সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে প্রতিবন্ধি জাকিরকে দুর্যোগ সহনীয় ঘর পেতে সহায়তা করছেন দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, স্থানীয় কাউন্সিলর সাচ্চু মিয়া।
গলায় রসি বেঁধে পশুর মতো নিজের প্রতিবন্ধী সন্তানকে টেনে টেনে ভিক্ষা করেন এক মা। গত ৫ ফেব্রæয়ারী দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় এ ধরনের এক সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি সকলের দৃষ্টিগোচর হয়। দুর্গাপুর পৌরসভার শৈলাডহর গ্রামের প্রতিবন্ধী জাকিরের মা জামেনা খাতুন বসত অন্যের ঘরের বারান্দার একটি ছাপড়া ঘরে। বছরের পর এভাবে দিনাতিপাত করলেও জামেনার জীবন ও ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। শ্রবণ ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হয়েই জন্ম নেয় জাকির। জন্মের কিছুদিন পর জাকির হারায় দরিদ্র বাবাকেও। টাকার অভাবে ছেলেকে চিকিৎসা করাতে না পেরে প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে জীবনের তাগিদে এভাবেই ভিক্ষা করে বেড়ান জাকিরের মা।
এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম বলেন, মানুষ হিসেবে একজন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেড়েছি এর চেয়ে বড় আর কি হতে পারে। যুগান্তর প্রত্রিকা সহ অন্যান্য কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশ হলে বিষয়টি সকলের নজরে আসে। জাকির হোসেনকে প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন আমার ব্যক্তিগত ভাবে জাকিরের চিকিৎসার জন্য কিছুটা সাহায্য করেছি। তাঁর নিজস্ব জায়গা না থাকায় তাঁকে শর্তসাপেক্ষে অন্য একজনকে জায়গা দেয়ার জন্য উদ্ভোদ্ধ করেছি। জায়গার ব্যবস্থা হওয়াতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার এবং তার মায়ের জন্য সরকারি সহায়তায় দুর্যোগ সহনীয় ঘর প্রদানের ব্যবস্থা করছি।