শেখ শামীম (কলমাকান্দা) নেত্রকোণা : নেত্রকোণা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে এক যমজ তথা দুই ভর্তিচ্ছু শিশুর মধ্যে ভর্তি বঞ্চিত অপর শিশুকে ১০(দশ) দিনের মধ্যে ভর্তি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এখন থেকে পূর্বে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া সাবরিনা খান রাইসার সাথে অপর যমজ বোন মাহফুজা খান লামিসাও একই স্কুলে, একই ক্লাসে যেতে পারবে।
যমজ শিশুর অভিভাবকের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
এখানে উল্লেখ্য, চলতি শিক্ষাবর্ষে লটারিতে যমজ শিশুর মধ্যে একজন ভর্তির সুযোগ পায়। যমজ অপর শিশুর মানসিক বিকাশের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ভর্তি বঞ্চিত শিশুর ভর্তির বিষয়ে, গত ২১ জানুয়ারী ও পুনরায় ১৬ আগষ্ট নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেন শিশুটির অভিভাবক। এতে ফল না পেলে ভর্তি বঞ্চিত শিশুটির পিতা মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান খানের পক্ষে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মুসফিকুল হক মুসফিক হাইকোর্টে এই রিট দায়ের করেন।
আদালতে রিটের আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী সঞ্জয় কুমার কুন্ডু। শুনানিতে তাঁকে সহযোগিতা করেন সুপ্রীম কোর্টের অপর আইনজীবী অমিত রায়। এ প্রসঙ্গে এই মামলার ফাইলিং এডভোকেট মোহাম্মদ মুসফিকুল হক মুসফিক বলেন, “যমজ শিশুদের মানসিক বিকাশ কল্পে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একত্রে ভর্তির এই আদেশ, দেশের বিচার অঙ্গনে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তাছাড়া মাননীয় বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এই আদেশে, আইনের সাথে মানবিকতার বিষয়টি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সফলভাবে প্রয়োগ করেছেন।” রাষ্ট্রপক্ষে শুনানীতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এ সময় আদালত বলেন, রুল ও ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হলো। তাছাড়া রুলে, এই শিশুকে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তিতে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক, নেত্রকোণা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং নেত্রকোণা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচ বিবাদীকে আগামী ২৮ অক্টোবর,২০২১ এর মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।